মালয়েশিয়ায় ১৫ বাংলাদেশিসহ ৫০১ অভিবাসী আটক

মালয়েশিয়ায় ১৫ বাংলাদেশিসহ ৫০১ অভিবাসী আটক
মালয়েশিয়ায় ১৫ বাংলাদেশিসহ ৫০১ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় ১৫ বাংলাদেশিসহ ৫০১ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। 

শুক্রবার রাতে সেলাঙ্গর রাজ্যের শাহ আলম সেকশন ২২ এর একটি শিপিং কোম্পানির গুদামে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

তাদের মধ্যে ৩১৮ জন ভারতের, ১৬ জন নেপালের, ১৫ জন বাংলাদেশের, ৬২ জন ইন্দোনেশিয়ার, ৭৯ জন শ্রীলঙ্কার ও ১১ জন মিয়ানমারের নাগরিক। আটকৃতদের বয়স ১৫ থেকে ৫২ বছরের মধ্যে। 

সেলাঙ্গর রাজ্যের অভিবাসন বিভাগের উপ-পরিচালক তরমিজি তালিব আলি গণমাধ্যমকে জানান, স্থানীয় জনসাধারণের তথ্যের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন কার্যকলাপ ও গতিবিধি পর্যবেক্ষণের পর তাদের আটক করা হয়েছে।

তার নেতৃত্বে এই অভিযানে যোগ দেন সেলাঙ্গর রিইনফোর্সমেন্টের ৭৮ জন ও জাতীয় নিবন্ধন বিভাগের (জেপিএন) ৪ কর্মকর্তা।

শনিবার মালয় সংবাদমাধ্যম সিনার হারিয়ান এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযানের সময় কেউ কেউ বস্তার স্তূপের আড়ালে, টয়লেটে ও ওই ভবনের ছাদে লুকানোর চেষ্টা করে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটকৃতদের অনেকের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। অনেকের কাছে বৈধ কোনো ভ্রমণ নথিও ছিল না। তাদের বেশিরভাগই নির্মাণ প্রতিষ্ঠানে পরিচ্ছন্নতা ও নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিলেন।

অভিবাসন কর্মকর্তা তরমিজি বলেন, 'এর আগে কখনো এই গুদামে অভিযান চালানো হয়নি। এ অভিযানে ১১৩ জন স্থানীয় নাগরিকসহ মোট ৬১৪ জনের কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে যাদের কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই, তাদের অভিবাসন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩ অনুযায়ী আটক করা হয়েছে।'

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, আটক বিদেশি শ্রমিকরা স্বীকার করেছেন যে, তারা কয়েক মাস ধরে প্রতিদিন ৬ থেকে ১২ ঘণ্টার শিফটে ৮০ থেকে ১০০ রিঙ্গিত পারশ্রমিকে কাজ করছেন।

বৈধ নথি ছাড়া শ্রমিকদের কাজ করার অনুমতি দেওয়ায় মালিকের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অভিবাসন কর্মকর্তা তরমিজি।

লেখক: মালেশিয়াপ্রবাসী সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

With Trump’s win, Bangladesh gets more investment queries from China

Chinese entrepreneurs are increasingly inquiring with Bangladeshi businesses over scope for factory relocations, joint ventures and fresh investments, apprehending that the new Trump administration might further hike tariffs on their exports to the US.

9h ago