আবরার স্মরণসভায় ছাত্রলীগের হামলা ও গ্রেপ্তারের নিন্দা ২৩ নাগরিকের

শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য এলাকায় আবরার ফাহাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় ছাত্রলীগের হামলা। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত স্মরণসভায় ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও পরে ছাত্রলীগের মামলায় গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে দেশের ২৩ নাগরিক। 

সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো লেখক ও গবেষক জাকারিয়া পলাশের সই করা এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়। 

বিবৃতিতে বলা হয়, 'আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা মনে করি হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করার বদলে আহতদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে পুলিশ দেশের আইন ও বিচারব্যবস্থার একটি বাজে দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছে। আমরা অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি করছি এবং তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।' 

গত ৭ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে আবরারের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত স্মরণসভায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। এতে ছাত্র অধিকার পরিষদের ১৫ নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে, সেখানেও এক্স-রে রুম ও ইমার্জেন্সি রুমে ছাত্রলীগ ফের হামলা চালায়। পরে আহত ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের পুলিশের কাছে তুলে দেয় তারা। 

পরদিন ছাত্রলীগের করা পৃথক দুটি মামলায় আহত ২৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখায় শাহবাগ থানা এবং তাদের আদালতে হাজির করলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

বিবৃতিদাতারা হলেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আসিফ নজরুল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়্যুম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ও উর্দু বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আ ম ম আরিফ বিল্লাহ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক নাসির উদ্দিন আহমেদ, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক মাহবুব হোসেন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও লেখক সৈয়দ আবদাল আহমদ, মেজর জেনারেল (অব.) আ ম স আ আমিন, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, নাগরিক কল্যাণ ও বিকাশের আহ্বায়ক এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান, লেখক ও গবেষক ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক মাহবুব মোর্শেদ, লেখক ও গবেষক রাখাল রাহা, সাবেক কূটনীতিক ও পিপলস অ্যাক্টিভিস্ট কোয়ালিশনের সমন্বয়ক সাকিব আলি, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক সালাহ উদ্দিন শুভ্র, কথাসাহিত্যিক ও সাংবাদিক এহসান মাহমুদ, লেখক ও গবেষক জাকারিয়া পলাশ, কবি ও গণসংস্কৃতি পরিষদের আহবায়ক শওকত হোসেন এবং কবি, লেখক ও অ্যাক্টিভিস্ট তুহিন খান।

 

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

13h ago