র‌্যাব সংস্কারের প্রশ্নই ওঠে না: র‌্যাব ডিজি

rab_dg_khurshid1.jpg
ছবি: সংগৃহীত

র‌্যাব আইনের বাইরে কোনো কাজ করে না। তাই সংস্কারের প্রশ্নই ওঠে না বলে মন্তব্য করেছেন বাহিনীর নবনিযুক্ত মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন।

আজ শনিবার সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে দেশটির অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। জবাবদিহিতা ও সংস্কার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে সংস্কারের কোনো প্রশ্নই দেখি না। কারণ, আমরা এমন কোনো কাজ করছি না যার জন্য র‌্যাবকে সংস্কার করতে হবে। আমরা আমাদের জন্য নির্ধারিত যে বিধি আছে, সেই বিধি-বিধান অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি। আমরা আইনের বাইরে কোনো কাজ করি না। সে ক্ষেত্রে সংস্কারের তো প্রশ্নই ওঠে না।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আপনার ওপর কতটুকু প্রভাব ফেলবে, চাপ কতটুকু থাকবে বলে মনে করেন জানতে চাইলে খুরশীদ বলেন, একটা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এটা সরকারিভাবে মোকাবিলা করা হচ্ছে। তারা যেসব বিষয় আমাদের কাছে চেয়েছে, ইতোমধ্যে আমরা সেগুলোর জবাব দিয়েছি। জবাব দেওয়ার পরে তারা নতুন করে কোনো প্রশ্ন তোলার সুযোগ পায়নি। কারণ, আপনি বললেন এতগুলো লোক আমার নেই, উধাও হয়েছে কিন্তু আমাদের তো বলতে হবে সেই লোকগুলো কারা? সেগুলো বলা হয়েছে, আমরা সেগুলোর খোঁজ দিয়েছি, কে, কোথায়, কী অবস্থায় আছে। আমি মনে করি না, এটা বড় কোনো চ্যালেঞ্জ সরকার বা আমাদের জন্য। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করে যাব। এটা সত্য, যারা কাজ করে তাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি হতেই পারে। দেখতে হবে সেটা আমি ব্যক্তি স্বার্থে করেছি নাকি দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থে করেছি। এ বিষয়গুলো আমরা অবশ্যই সরকারিভাবে মোকাবিলা করবো।

দুর্গা পূজায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অতীতে আমরা সব সময় পূজা মণ্ডপে স্ট্যান্ডিং আনসার রাখতাম। গত বছর এটা করা হয়নি। করা হয়েছিল আনসারদের মোবাইল পেট্রোল। এবার যখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিটিং হয় আমি নিজে উপস্থিত ছিলাম। তখন আমি প্রস্তাব করেছিলাম, প্রত্যেকটা পূজা মণ্ডপে শ্রেণি ভেদে গুরুত্ব বিবেচনায় ৪ থেকে ৭ জন করে স্ট্যান্ডিং আনসার সদস্য থাকবে। পাশাপাশি থাকবে মোবাইল পেট্রোল। র‌্যাব ফোর্সেস থেকেও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মূল সমস্যা—সাইবার পেট্রোলিংয়ের মাধ্যমে আমরা এগুলো ফাইন্ড আউট করছি; সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করে, এটা এক ধরনের উস্কানি। অসাম্প্রদায়িক দেশে যারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরি করে দেয়, একটি দৃষ্কৃতিকারী সংস্থা রয়ে গেছে। কিছু দুষ্ট লোক রয়ে গেছে তারা চেষ্টা করবে। আমাদের বুঝতে হবে, দেশ আমাদের, এ সমাজ আমাদের। আমরা এখানে সব ধর্ম নির্বিশেষে...প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। আমরা যে ব্যবস্থা নিয়েছি, র‌্যাব ফোর্সেস তৈরি আছে, কোনো সমস্যা হবে বলে আমি বিশ্বাস করি না।

Comments

The Daily Star  | English

Interest payments, subsidies soak up almost half of budget

Interest payments and subsidies have absorbed nearly half of Bangladesh’s total budget expenditure in the first seven months of the current fiscal year, underscoring growing fiscal stress and raising concerns over public finances.

2h ago