কক্সবাজারে র‌্যাবের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ বিএনপি নেতার মৃত্যু

জাগির হোসেনের মৃত্যুর প্রতিবাদে কক্সবাজারে আগামীকাল দিনব্যাপী হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি।
নিহত জাগির হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

র‌্যাবের গুলিতে আহত কক্সবাজারের ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতা চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন দলটির নেতারা।

আজ মঙ্গলবার সকালে মারা যান তিনি। নিহত জাগির হোসেন উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক।

পুলিশ ও র‌্যাবের দাবি, রোববার রাতে জালিয়াপালং ইউনিয়নের পাইন্যাসিয়া গ্রামে নাশকতার মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করতে গেলে র‌্যাবের একটি দলের ওপর বিএনপি সমর্থকরা হামলা করে। র‌্যাব আত্মরক্ষার্থে হামলাকারীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

কক্সবাজার জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসান সিদ্দিকী জানান, জাগির হোসেনের মৃত্যুর প্রতিবাদে কক্সবাজারে দিনব্যাপী হরতাল পালন করা হবে।

র‌্যাবের গ্রেপ্তার অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে উখিয়া উপজেলা বিএনপির সম্পাদক সুলতান মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'উখিয়ায় তেমন কিছুই হয়নি সেদিন। তারপরও পুলিশ আমাকেসহ ৩৫ বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা করেছে।'

তিনি আরও বলেন, 'র‌্যাব আমার গ্রামে গিয়ে লোকজনকে গ্রেপ্তার করছিল। আমি উপস্থিত না থাকলেও তারা আমার বাড়িতেও অভিযান চালায়। বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করার ঘটনার প্রতিবাদ করলে র‌্যাব সাধারণ মানুষের ওপর গুলি চালায়।'

'সেখান থেকে র‌্যাবের গুলিতে আহত তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে জাগির মারা গেছেন,' যোগ করেন তিনি।

এ ঘটনায় র‌্যাব বাদী হয়ে সুলতান মাহমুদ, নিহত জাগির হোসেনসহ ৪২ জনকে আসামি করে মামলা করেছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলী বলেন, 'আজ সকালে এলিট ফোর্সের ওপর হামলার অভিযোগে র‌্যাব বাদী হয়ে মামলা করেছে। উখিয়ার একজন আহত বিএনপি কর্মী চট্টগ্রামে মারা গেছেন বলে শুনেছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে হলে র‌্যাবের সঙ্গে কথা বলুন।'

এ বিষয়ে জানতে কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইনি ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবু ছালাম চৌধুরীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

সোমবার দৈনিক প্রথম আলো আবু ছালাম চৌধুরীর বরাত দিয়ে জানায়, নাশকতা মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করতে র‌্যাবের একটি দল পাইন্যাসিয়া গ্রামে গেলে বিএনপি সমর্থকরা বাহিনীকে ঘেরাও করে এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। হামলায় র‌্যাবের কয়েকটি গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। এ পরিস্থিতিতে র‌্যাব আত্মরক্ষার্থে লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালায়।

Comments