দুর্গাপূজায় জঙ্গি হামলার আশঙ্কা করছে ডিএমপি

ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম। ফাইল ছবি

আসন্ন দুর্গাপূজার সময় জঙ্গি হামলা এবং অপপ্রচারের মাধ্যমে ধর্মীয় সংঘাতের আশঙ্কা করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেছেন, 'দুর্গাপূজায় জঙ্গি হামলার আশঙ্কা আছে। পাশাপাশি ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অপপ্রচারের মাধ্যমে অস্থিতিশীলতা তৈরির আশঙ্কাও আছে।'

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে দুর্গাপূজার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।

গত বছর দুর্গাপূজার সময় সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এবারের উদযাপন নিয়ে ইতোমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

এবারের পূজায় কোনো ঝুঁকি আছে কি না, জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'দুই ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে। একটি জঙ্গি হামলা, আরেকটি হচ্ছে অপপ্রচারের মাধ্যমে ধর্মীয় অস্থিরতা তৈরি করা। ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের গোয়েন্দারা কাজ করছে।'

'আমরা জঙ্গি হামলার ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছি। আমরা ইতোমধ্যে জানতে পেরেছি যে প্রায় ৫০ জন যুবক বাড়ি ছেড়েছে। তাদের কোথায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, তা জানতে আমরা কাজ করছি। কিন্তু এ বিষয়ে কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে,' বলেন তিনি।

'তবে তারা মাঠে নামার আগেই আমরা তাদের ধরতে সক্ষম হব,' যোগ করেন তিনি।

গত বছরের কুমিল্লায় সহিংসতার ঘটনা উল্লেখ করে কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেন, 'ভুয়া সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়ানোর সম্ভাবনা আছে। এ বছরও এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে।'

'আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অন্যদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছি। আশা করি, কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হবে না। আমরা সতর্ক আছি,' বলেন তিনি।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ এর আগে জানিয়েছে, এবারের পূজা উদযাপনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১২-১৩টি মণ্ডপে হামলা ও ভাঙচুর হয়েছে।

এ বছর রাজধানীর ২৪১টি সহ সারাদেশে মোট ৩২ হাজার ১৬৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, 'সব মণ্ডপকে সিসিটিভি নজরদারির আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। সিসিটিভি ক্যামেরা নেই এমন পূজা মণ্ডপগুলোকে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ, আনসার সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের নজরদারিতে রাখা হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

5m ago