যুবদলকর্মী শাওনের মরদেহ নয়াপল্টনে নিতে দিচ্ছে না পুলিশ, অভিযোগ পরিবারের
মুন্সিগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত যুবদলকর্মী শহীদুল ইসলাম শাওনের (২৭) মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে তার মরদেহ সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্ত করেন ডা. জান্নাতুন নাইম।
কীসের আঘাতে শাওনের মৃত্যু হয়েছে জানতে চাইলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কীসের আঘাত সেটা এখনই বলা যাবে না।'
মর্গে সে সময় উপস্থিত ছিলেন শাওনের ভাই সোহানুর রহমান সোহান ও বাবা সোহরাব আলি ভূঁইয়া।
মরদেহ এখন কোথায় নেওয়া হবে জানতে চাইলে সোহান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা ভেবেছি শাওনের মরদেহ প্রথমে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেবো। পরে সেখান থেকে মুন্সিগঞ্জে বাড়িতে নিয়ে যাব।'
'কিন্তু পুলিশ বলছে এখান থেকে মরদেহ সরাসরি মুন্সিগঞ্জে নিয়ে যেতে। নয়াপল্টনে নেওয়ার কথা বললে তারা জানিয়েছে, তাহলে ভাইয়ের লাশ দেওয়া হবে না,' যোগ করেন তিনি।
শাওনের বাবা সোহরাব আলিও একই কথা জানান।
এ বিষয়ে মর্গে উপস্থিত একাধিক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
মর্গে সে সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তিনি ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা শাওনের মরদেহ নয়াপল্টনে আমাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নেবো। সেখানে বিকেল ৫টায় শাওনের জানাজার হবে। তারপর মরদেহ মুন্সিগঞ্জে পাঠানোর ব্যবস্থা করব।'
মুন্সিগঞ্জে গত বুধবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে যুবদলকর্মী শাওন আহত হন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেওয়া হলে বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
Comments