ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিয়ে জখম, উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা
ফেসবুক লাইভে দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য জামিউল ইসলাম জীবন এবং তার বাবা ফরহাদ হোসেনকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ এবং তার ২ ভাইয়ের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় দায়ের মামলায় আজ বুধবার সকালে উপজেলা চেয়ারম্যানের এক ভাই আলীম আল রাজি শাহকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে চেয়ারম্যান ও তার আরেক ভাই ফয়সাল শাহ পলাতক আছেন।
চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।
আহত জীবনের চাচা এবং নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এস এম ফিরোজ জানান, জীবন এখন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। তার বাবা ফরহাদ হোসেন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ আছেন।
মামলার বরাত দিয়ে নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জানান, ফেসবুক লাইভে এসে জীবন নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন।
এ ঘটনায় সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নলডাঙ্গা উপজেলার রামশাকাজিপুর আমতলী বাজারে জীবনকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে পেটান চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, তার ২ ভাই ও অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ৪-৫ জন। এ সময় বাধা দেওয়ায় জীবনের বাবা ফরহাদ হোসেনকেও পেটানো হয়।
আহতদের উদ্ধার করে রাতেই রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরদিন ফরহাদ হোসেনকে ছাড়পত্র দেন চিকিৎসকরা। তবে জীবনকে পাঠানো হয় আইসিউতে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জীবন মারা যাওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশ। তবে রামেক হাসপাতালে আইসিইউ ইনচার্জ ডা. আবু হেনা মোস্তাফা কামাল নিশ্চিত করেন, জীবন মারা যাননি। যদিও তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
এ ঘটনায় মঙ্গলবারই জীবনের মা জাহানারা বেগম বাদী হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদসহ তার ২ ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
ওসি শফিকুল ইসলাম আরও জানান, পেটানোর ঘটনায় রামশা কাজিপুর এলাকায় এখনও উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ওই এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা আছে।
এসব বিষয়ে পলাতক উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার আরেক ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জানতে চাইলে নাটোর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, 'জীবন এবং আসাদ আত্মীয়। যে ঘটনা ঘটেছে সেটা তাদের পারিবারিক বিরোধ। বারবার জীবনের মৃত্যু গুজব ছড়িয়ে এক মহল রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে। অপরাধী যেই হোক, আইনের আওতায় এনে কঠোর বিচার করা হবে।'
Comments