৩ উপজেলায় ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম রাত
কয়েকজন অপরিচিত মানুষকে ঘুরতে দেখে এলাকার বিভিন্ন মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দেওয়া হয় ডাকাত পড়েছে। এই ঘোষণার পর ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কেটেছে পিরোজপুর ও ঝালকাঠি জেলার ৩টি উপজেলার মানুষের।
গতকাল মঙ্গলবার দিনগত রাতে বেশ কয়েকটি মসজিদের মাইকে এলাকায় ডাকাত পড়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।
পরে স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ রাত জেগে বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে সারারাত গ্রাম পাহারা দেন। তবে, তারা কোথাও কোনো ডাকাতের সন্ধান পাননি বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মৃদুল আহম্মেদ সুমন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, 'কাউখালীর সীমান্তবর্তী ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার নৈকাঠীতে স্থানীয়রা ৬-৭ জন অপরিচিত লোককে গভীর রাতে ঘোরাফেরা করতে দেখেন। এরপর হঠাৎ করেই তারা উধাও হয়ে যায়।'
'এ ঘটনার পর স্থানীয় মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা করা হয় যে, এলাকায় ডাকাত প্রবেশ করেছে। এরপর কাউখালী ও রাজাপুর উপজেলায় ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয়দের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়রা বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে সারারাত ধরে এলাকাগুলোতে পাহারা দেয়', বলেন মৃদুল আহম্মেদ।'
এ বিষয়ে কাউখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. বনি আমিন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তাদের ধারণা কেউ হয়তো ডাকাতির উদ্দেশ্যে ওই এলাকায় এসেছিল। তবে, পুলিশ এবং স্থানীয়দের তৎপরতার কারণে তারা কোনো অপরাধ করতে পারেনি।
তবে, সারারাত পাহারায় থাকার পরও কোথাও কোনো ডাকাতের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি বলে জানান, ঝালকাঠির রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলক চন্দ্র রায়।
এ ছাড়া কাঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুরাদ আলী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, উপজেলার ছৈলার চর এলাকায় দুটি ট্রলারে করে কিছু অপরিচিত লোক এসেছিল। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের পরিচয় জিজ্ঞেস করলে তারা সেখান থেকে সটকে পড়েন। এরপর বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পেরে রাতের পাহারা জোরদার করে। তবে, কোথাও ডাকাত কিংবা সন্দেহভাজন কারও উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।
ওসি আরও জানান, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে রাতের বেলা তাদের নিয়মিত টহল রয়েছে। তবে, এ ঘটনার পর তা আরও জোরদার করা হয়েছে।
Comments