পিরোজপুরের আ. লীগ নেতা কানাই লালকে বহিষ্কারের পাল্টা হুমকি মহারাজের

পিরোজপুরের নেছারাবাদে অলংকারকাঠী এম আর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জনসভায় বক্তব্য দেন মো. মহিউদ্দিন মহারাজ। ছবি: সংগৃহীত

পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কানাই লাল বিশ্বাসকে বহিষ্কারের পাল্টা হুমকি দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন মহারাজ।

আজ বুধবার বিকেলে নেছারাবাদ উপজেলার অলংকারকাঠী এম আর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জনসভায় কানাই লাল বিশ্বাসকে উদ্দেশ্য করে এই হুমকি দেন তিনি।

আওয়ামী লীগের যেসব নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধি নৌকার বিরোধিতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন তাদেরকে দল থেকে বহিষ্কারের হুমকি দিয়েছিলেন কানাই লাল বিশ্বাস। মঙ্গলবার বিকেলে নেছারাবাদের স্বরূপকাঠী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জাতীয় পার্টির (জেপি-মঞ্জু) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর জনসভায় এ হুমকি দিয়েছিলেন তিনি।

এর জবাবে বুধবারের সমাবেশে মহারাজ বলেন, 'মিস্টার কানাই লাল বাবু, আপনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আমিও কিন্তু যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। আপনি যদি বাপের পুত হন, পিরোজপুরে গিয়ে নৌকার পক্ষে বক্তব্য দিয়ে দেখান। আপনি বহিষ্কার করতে চান। আপনি যদি আমাকে বহিষ্কার করতে পারেন, আমি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং এ কে এম এ আউয়াল সাহেব সভাপতি আপনাকে বহিষ্কারের ক্ষমতা রাখি। এতএব এই সমস্ত কথা বলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করবেন না।'

পিরোজপুর-১ আসন থেকে ঈগল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল।

বক্তব্যে মহারাজ আরও বলেন, নৌকা প্রতীক নয় বরং আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে হবে। পিরোজপুর-২ আসনে আনোয়ার হোসেন মঞ্জু নৌকা ধার নিয়েছেন। তার মাধ্যমে এলাকার কোনো উন্নয়ন সম্ভব নয়।

নির্বাচিত হলে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকেই কাছে টেনে নেবেন বলে মন্তব্য করেছেন মহারাজ। তিনি আরও বলেন, নেছারাবাদ উপজেলাকে পিরোজপুর-২ আসনের সাথে সংযুক্ত করার পর, মঞ্জু সেটা বাদ দেওয়ার জন্য মামলা করেছিলেন। কিন্তু বাদ দিতে পারেন নাই। তাই তিনি (মঞ্জু) নির্বাচিত হলে নেছারাবাদের কোনো উন্নয়ন করবেন না।

বিগত কয়েক বছর ধরে মঞ্জুর সঙ্গে তার সাবেক একান্ত ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মহিউদ্দীন মহারাজের দ্বন্দ্ব চলছিল। গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে মহারাজ দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। এরপর তাকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে হয়েছিল। এর পর থেকেই মঞ্জুর সঙ্গে মহারাজের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে।

মঙ্গলবার বিকেলে নেছারাবাদে এক সমাবেশে মঞ্জু বলেছিলেন, 'আল্লাহ যদি তার কিসমতে লিখে থাকে, হয়ে যাবে। আর আমার কিসমতে যদি থাকে হয়ে যাব। যদি আল্লাহ তায়ালা আমার পক্ষে থাকেন, তাহলে আপনাদের ভোটও লাগবে না।'

 

Comments

The Daily Star  | English

PSC announces major changes to ease BCS recruitment process

The PSC chairman says they want to complete the entire process — from prelims to recruitment — in 12 months

8h ago