ঝালকাঠির দুর্ঘটনা: বাস চালানোর লাইসেন্স ছিল না চালকের

ঝালকাঠির ছত্রকান্দা এলাকায় রাস্তার পাশে পুকুরে পড়ে যায় বাসটি। ছবি: স্টার

ঝালকাঠিতে গতকাল শনিবার বাস উল্টে পুকুরে পড়ে ১৭ যাত্রী নিহত ও ৩৫ যাত্রী আহত হন। বাসটির চালক মোহন খানের ভারী যান চালানোর লাইসেন্স ছিল না।

ওই দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির এক সদস্য আজ রোববার দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সদস্য বলেন, 'চালক মোহন খানের কাছে হালকা যান (মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কার) চালানোর লাইসেন্স ছিল। বাস চালানোর কথা ছিল না তার।'

যাত্রীরা জানান, 'বাশার স্মৃতি পরিবহন' বাসটি শনিবার সকাল ৯টায় ভাণ্ডারিয়া থেকে ছেড়ে আসে। সকাল ১০টার দিতে ছত্রকান্দা সংলগ্ন এলাকাতে রাস্তার পাশে একটি পুকুরে পড়ে যায় বাসটি।

বাসটির চালক মোহন খান দুর্ঘটনার পর থেকে পলাতক।

তিনি ২০২০ সালে বিআরটিএ বরিশাল সার্কেল থেকে হালকা যান চালানোর লাইসেন্স পেয়েছিলেন বলে তদন্ত কমিটির ওই সদস্য জানিয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'পুলিশ চালকের লাইসেন্স সংক্রান্ত কাগজপত্র সংগ্রহ করেছে।'

দুর্ঘটনার জন্য চালকের অসাবধানতাকে দায়ী করেছেন বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা। বাসের ফিটনেস এবং রোড পারমিটের কাগজপত্র অবশ্য হালনাগাদ ছিল বলে কর্মকর্তারা জানান।

ঘটনার তদন্তে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুন শিবলীর নেতৃত্বে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটিতে বুয়েটের অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে একজন নেওয়া হয়েছে। তিনি আগামীকাল ঘটনাস্থলে যাবেন বলে জানান তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানিয়েছেন।

যোগাযোগ করা হলে তদন্ত কমিটির প্রধান মামুন শিবলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা ২ আহত যাত্রীসহ মোট ১০ জনের সঙ্গে কথা বলেছি। গাড়ি চালানোর সময় চালক কথা বলছিল জানতে পেরেছি। যেহেতু ড্রাইভার ও হেলপারকে পাওয়া সম্ভব হয়নি, সেহেতু অনেক কিছুই জানতে পারিনি।'

দুর্ঘটনাস্থলে সড়কের পাশের পুকুরের প্রসঙ্গে তুলে তিনি বলেন, 'রাস্তা সংলগ্ন পুকুর খনন করার বিষয়টি আমরা খুব গুরুত্ব দিচ্ছি। জমির মালিক শ্রেণি পরিবর্তন করেছিল কি না, আমরা খোঁজ নিচ্ছি।'

নির্ধারিত সময়ে তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

11h ago