কৃষককে যেন লাইনে দাঁড়িয়ে সার কিনতে না হয়: কৃষি মন্ত্রণালয়

কৃষককে যেন লাইনে দাঁড়িয়ে স্লিপ দিয়ে সার কিনতে না হয় তা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

আজ বুধবার বিকালে সচিবালয়ে ভার্চুয়ালি আয়োজিত 'সার্বিক সার ও সেচ পরিস্থিতি পর্যালোচনা' সভায় এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সভায় সার নিয়ে কৃষকদের বিভ্রান্ত না হওয়ায় আহ্বান জানিয়ে কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, 'দেশে পর্যাপ্ত সার মজুদ রয়েছে। গুজবে কান দিয়ে বিভ্রান্ত হওয়া যাবে না।'

সভায় সকল জেলা প্রশাসক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালকরা সারের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন। তারা জানান, মাঠ পর্যায়ে পর্যাপ্ত সার রয়েছে। সারের কোনো সংকট নেই। তবে সারের দাম বাড়বে বলে গুজব ও কিছু বিভ্রান্তিকর তথ্যের কারণে সারের বিষয়ে প্রায়শই গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হচ্ছে। এছাড়া, কৃষকের মধ্যেও সার মজুদের প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে।

এসময় সারের কারসাজি রোধে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়। এগুলো হলো- কৃষককে যেন লাইনে দাঁড়িয়ে স্লিপ দিয়ে সার কিনতে না হয় তা নিশ্চিত করা, রশিদ ছাড়া যেন সার বিক্রি না হয় তা নিশ্চিত করা, ডিলার ও খুচরা বিক্রেতার দোকানে লালসালুতে বা ডিজিটালি সারের মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখা নিশ্চিত করা, খুচরা বিক্রেতাদের নিকট সার সরবরাহ নিশ্চিত করা, ডিলারের গুদাম ভিজিট করে সারের অ্যারাইভাল নিশ্চিত করতে হবে ও ট্রাক চালানের সঙ্গে তা যাচাই করে দেখতে হবে।

সভায় আরও বলা হয়েছে, জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে কৃষি বিভাগ নিবিড় যোগাযোগ রক্ষা করবে এবং নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে হবে।

এছাড়া, সভায় কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে সার বরাদ্দের সঙ্গে সঙ্গেই বিসিআইসি থেকে সার উত্তোলনের অনুমতি দিতে বিসিআইসি চেয়ারম্যানকে পরামর্শ দেওয়া হয়।

সভায় জানানো হয়েছে, চাহিদার বিপরীতে দেশে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। বর্তমানে ইউরিয়া সারের মজুদ ৬ লাখ ৪১ হাজার মেট্রিক টন, টিএসপি ৪ লাখ ১৫ হাজার টন, ডিএপি ৯ লাখ ০৪ হাজার টন, এমওপি ২ লাখ ৪৬ হাজার টন।

সারের বর্তমান মজুদের বিপরীতে সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত সারের চাহিদা হলো ইউরিয়া ৩ লাখ ৫০ হাজার টন, টিএসপি ৯৬ হাজার টন, ডিএপি ২ লাখ ১৯ হাজার টন, এমওপি ১ লাখ ২১ হাজার টন।

বিগত বছরের একই সময়ের তুলনায়ও সারের বর্তমান মজুদ বেশি। বিগত বছরে এই সময়ে ইউরিয়া সারের মজুদ ছিল ৫ লাখ ৯৯ হাজার মেট্রিক টন, টিএসপি ২ লাখ ১৩ হাজার টন, ডিএপি ৬ লাখ ৭৩ হাজার টন এবং এমওপি ১ লাখ ৮১ হাজার টন।

বুধবার এই ভার্চুয়াল সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) বলাই কৃষ্ণ হাজরা, অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রসারণ) রবীন্দ্রশী বড়ুয়া, বিএডিসির চেয়ারম্যান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিসিআইসির চেয়ারম্যান, সকল জেলা প্রশাসক, সারা দেশের মাঠ পর্যায়ের কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা যুক্ত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

5h ago