কষ্ট হলেও কৃষক উৎপাদন করবে, কম লাভেও করবে: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

ডিজেল-বিদ্যুতের দাম বাড়ালে আয়ের ওপর একটা বিরূপ প্রভাব পড়বে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, 'সে (কৃষক) কৃষি কাজ করে...হয়তো উৎপাদন...সেটা তার কষ্ট হলেও করবে। কম লাভেও করবে।'

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ডিজেলের দাম বাড়ানো হয়েছে, দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। আমাদের সেচ নির্ভর কৃষি ব্যবস্থা, এ ক্ষেত্রে খাদ্য নিরাপত্তায় সংকট হতে পারে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, 'খাদ্য সংকট হবে না। তবে আমি অবশ্যই বলবো, কৃষকের লাভ কম হবে; ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তার আয়ের ওপর একটা বিরূপ প্রভাব পড়বে আমরা যদি সারসহ অন্যান্য উপকরণ, বিদ্যুতের দাম বাড়াই।'

'আমরা আধুনিক কৃষির কথা বলছি; বাণিজ্যিক কৃষি। উপকরণের দাম যদি বাড়ে বাণিজ্যিক কৃষি কীভাবে হবে? এই যে সারের এত দাম আন্তর্জাতিক বাজারে। তারপরও আমরা বিরাট পরিমাণ ভর্তুকি দেই। সেই ভর্তুকি কিন্তু আমরা কমাইনি! ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ এবং কোভিডের অভিঘাত; আমরা ১ টাকাও সারের দাম বাড়াইনি,' বলেন তিনি।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, 'এটা পৃথিবীতে আনইউজুয়াল; একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলছেন, যাই হোক-আমাদের যত ক্ষতিই হোক অর্থনীতির অন্যান্য ক্ষেত্রে আমি কোনোক্রমে এমন কিছু করবো না যা কৃষি উৎপাদনের ওপর প্রভাব ফেলে—বিরূপ প্রভাবে ফেলে। উনি এখনো দৃঢ় হয়ে আছেন। এটা থেকে উনি সরছেন না। অর্থ এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয়, নীতি-নির্ধারণী পর্যায় থেকে অনেক পরামর্শ আছে যে, কিছু কিছু সারের ওপর ভর্তুকি কমিয়ে দেওয়ার। উনি কিছুতেই সেটা করবেন না।'

তিনি বলেন, 'উনি মানব দরদি। শতকরা ৬০-৭০ ভাগ মানুষ এখনো কৃষির সঙ্গে জড়িত। কৃষি এবং কৃষকের প্রতি উনার যে দরদের কথা বলি সেটির প্রতিফলন ঘটে।'

বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রাজ্জাক বলেন, '২০০৮ সাল থেকে তারা এই আন্দোলনে আছে। তারা মনে করছে ধাপে ধাপে আন্দোলনকে এগিয়ে নেবে। ১৪ বছরে আন্দোলন করে তারা সরকারের পতন ঘটাতে পারেনি। জনমত সৃষ্টি, পদযাত্রা করে আমার মনে হয় না সরকারের পতন হবে। দেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে যদি তারা না আসে, আমি মনে করি, বিএনপির অস্তিত্ব সংকট হবে।'

'পদযাত্রা করুক মানুষের মধ্যে চেতনা বৃদ্ধি করার জন্য, জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে এগুলোর বিরুদ্ধে, সেগুলো ঠিক আছে কিন্তু দেশের সার্বিক অর্থনীতির যে অবস্থা, যেভাবে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে, সাধারণ মানুষকে এসব বিষয়ে তারা বিভ্রান্ত করতে পারবে না। আমি খুবই নিশ্চিত,' বলেন রাজ্জাক।

Comments

The Daily Star  | English

Teknaf customs in limbo as 19 mt of rice, authorised by AA, reaches port

The consignment of rice weighing 19 metric tonnes arrived at Teknaf land port on Tuesday evening with the documents sealed and signed by the Arakan Army

5h ago