ভারতের সঙ্গে যে ৭ সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে আজ
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে ৭টি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ঢাকা ইতোমধ্যে ৭টি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে সেগুলোর বিস্তারিত প্রকাশ করেনি।
আজ যেসব সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে সেই সম্পর্কে জানতে পেরেছে দ্য ডেইলি স্টার।
সমঝোতা স্মারকগুলো হচ্ছে—
১. রহমিপুর হয়ে বাংলাদেশের সিলেটে কুশিয়ারা নদী থেকে সুরমা-কুশিয়ারা প্রকল্পের আওতায় ১৫৩ কিউসেক পানি বণ্টনে সমঝোতা স্মারক।
২. ভারতের কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর) এবং বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের (বিসিএসআইআর) মধ্যে বৈজ্ঞানিক সহযোগিতায় সমঝোতা স্মারক।
৩. ভারতের ভোপালের ন্যাশনাল জুডিশিয়াল একাডেমি এবং বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে সমঝোতা স্মারক।
৪. বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মীদের ভারতীয় রেলওয়ের ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণের জন্য ভারত ও বাংলাদেশের রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক।
৫. বাংলাদেশ রেলওয়ের আইটি বিষয়ক সহযোগিতার জন্য ভারত ও বাংলাদেশের রেল মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক।
৬. প্রসার ভারতী ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের মধ্যে সমঝোতা স্মারক।
৭. মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে সহযোগিতার মধ্যে সমঝোতা স্মারক।
৪ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে গতকাল সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের নয়াদিল্লি পৌঁছান। সেখানে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ভিভিআইপি বিমানবন্দর পালাম এয়ার ফোর্স স্টেশনে নামার পর ভারতের রেল প্রতিমন্ত্রী দর্শনা ভি জারদোশ এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. ইমরান তাকে অভ্যর্থনা জানান।
আজ মঙ্গলবার ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
৪ দিনের এই রাষ্ট্রীয় সফরে বাণিজ্য, জ্বালানি, যোগাযোগ ও নদীর পানি বণ্টনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনার হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারত সফর করবেন। তার ভ্রমণসূচি অনুযায়ী, আজ তার সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও আজ সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
আগামীকাল শেখ হাসিনা শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে ভাষণ দেবেন এবং ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফেরার আগে রাজস্থানের আজমির শরিফ দরগা পরিদর্শন করবেন।
Comments