ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ সোমবার ভারতের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। তবে, তার সফরসঙ্গী হিসেবে নেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র।
সাধারণত দেশের সরকারপ্রধান রাষ্ট্রীয় সফরে গেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সফরসঙ্গী হন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি অসুস্থ এবং এই কারণেই সফর বাতিল করেছেন।
তবে, দ্য ডেইলি স্টার এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারেনি।
সম্প্রতি ভারত সফর থেকে ফিরে গত ১৯ আগস্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রী চট্টগ্রাম নগরীর জেএমসেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, 'শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার, আমি ভারত সরকারকে সেটা করার অনুরোধ করেছি।'
তার এমন বক্তব্যে দেশে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। পরবর্তীতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন তার বক্তব্য গণমাধ্যমে ভিন্নভাবে উপস্থাপিত হয়েছে।
এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ আগস্ট আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যিনি এ কথা বলেছেন, তার ব্যক্তিগত অভিমত হতে পারে। এটা আমাদের সরকারের বক্তব্য না, দলেরও বক্তব্য না।
পরের দিন ২০ আগস্ট আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আওয়ামী লীগের কেউ নন। সুতরাং তার বক্তব্যে দলের বিব্রত হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।
২১ আগস্ট তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, তিনি অবশ্যই দলীয় সংসদ সদস্য। তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নন যে, দলের পক্ষ থেকে তিনি বিদেশে গিয়ে কথা বলবেন।
২২ আগস্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে মোমেনের দেওয়া বক্তব্য কিছু মিডিয়ায় সঠিকভাবে প্রকাশিত হয়নি।
গত ২৫ আগস্ট ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেন, 'আমি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলো দেখেছি (মোমেনের মন্তব্য সম্পর্কে)। কিন্তু এসব প্রতিবেদন কতটা সঠিক, তা নিয়ে বিতর্ক আছে।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারত সফর করবেন। তার ভ্রমণসূচি অনুযায়ী, আজ তিনি নয়াদিল্লি পৌঁছাবেন। ৬ সেপ্টেম্বর তার সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। একই দিন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন তিনি। ৭ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে ভাষণ দেবেন এবং ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফেরার আগে রাজস্থানের আজমির শরিফ দরগা পরিদর্শন করবেন।
Comments