শুভ-রাজের চোখে নায়ক সালমান শাহ

সালমান শাহ। ছবি: সংগৃহীত

বাংলা চলচ্চিত্রের সবচেয়ে স্টাইলিস্ট নায়ক ছিলেন সালমান শাহ। আজ ৬ সেপ্টেম্বর তার ২৬তম প্রয়াণ দিন। ১৯৯৬ সালের এ দিনে অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে চলে যান তিনি।

সালমান শাহকে নিয়ে দ্য ডেইলি স্টার কথা বলেছে নায়ক আরিফিন শুভ ও শরিফুল রাজের সঙ্গে।

আরিফিন শুভ। ছবি:স্টার

আরিফিন শুভ বলেন, 'সালমান শাহ পরবর্তী যেসব নায়ক এসেছেন, তাদের অনেকেই তার দ্বারা প্রভাবিত। কেউ তার অভিনয়, কেউ ফ্যাশন অনুসরণ করেন। অনন্য এক নাম সালমান শাহ। আমার পরবর্তী যেসব নায়ক এসেছেন, তাদেরও অনুপ্রেরণা হয়ে আছেন তিনি।'

শরিফুল রাজ বলেন, 'যখন সিলেটে ছিলাম, সালমান শাহর বাড়ির পাশের রাস্তা দিয়ে নিয়মিত যেতাম। অসংখ্যবার তার কবর দেখতে গিয়েছি। এসব অনুভূতিগুলো থেকেই হয়তো সিনেমার প্রতি আমার ভালোবাসা জন্মেছে। সালমান শাহ সবসময়ই স্টাইলিশ ছিলেন। তার ভিউ কার্ড কিনে কিনে জমাতাম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে কুমিল্লায় এসে "সত্যের মৃত্যু নেই" সিনেমা দেখেছি। এই সিনেমায় তার অভিনয় আমার মনে দাগ কেটে আছে।'

শরিফুল রাজ। ছবি: স্টার

মাত্র ৪ বছরে ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন সালমান শাহ। তার অভিনীত প্রায় সবগুলো সিনেমাই জনপ্রিয় হয়।

চলচ্চিত্রে সালমান শাহের অভিষেক হয়েছিল ১৯৯৩ সালে মৌসুমী অভিনীত ও সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত 'কেয়ামত থেকে কেয়ামত' সিনেমা দিয়ে। তারপর মৌসুমীর সঙ্গে জুটি হয়ে 'অন্তরে অন্তরে', 'দেনমোহর' ও 'স্নেহ' সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি।

salman shah
অভিনেতা সালমান শাহ। ছবি: সংগৃহীত

১৯৯৪ সালে সালমান শাহ-শাবনূর প্রথম জুটি হন জহিরুল হক পরিচালিত 'তুমি আমার' ছবিতে। এরপর একে একে 'সুজন সখী', 'বিক্ষোভ', 'স্বপ্নের ঠিকানা', 'মহামিলন', 'বিচার হবে', 'তোমাকে চাই', 'স্বপ্নের পৃথিবী', 'জীবন সংসার', 'চাওয়া থেকে পাওয়া', 'প্রেম পিয়াসী', 'স্বপ্নের নায়ক', 'আনন্দ অশ্রু', 'বুকের ভিতর আগুন' এ অভিনয় করেন।

সালমান শাহ অভিনীত অন্য সিনেমাগুলো হলো— জীবন রহমান পরিচালিত 'প্রেম যুদ্ধ', দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত 'কন্যাদান', হাফিজ উদ্দিন পরিচালিত 'আঞ্জুমান', মালেক আফসারী পরিচালিত 'এই ঘর এই সংসার' ইত্যাদি। এ ছাড়াও রয়েছে 'আশা ভালোবাসা', 'শুধু তুমি' ও 'স্বপ্নের ঠিকানা।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

8h ago