শাওনের থেকে ৩২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক গ্রেপ্তার
অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনের থেকে বিকাশে প্রায় ৩২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, মো. রবিউল ইসলাম নিজেকে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া পরিচয় দিয়ে এই প্রতারণা করেন। বুধবার দিবাগত রাতে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের একটি দল। রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তার প্রতারণার ব্যাপারে আজ দুপুরে ডিএমপির গোয়েন্দা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, রবিউল নিজেকে ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া পরিচয় দিয়ে প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের সহধর্মিণী শাওনের কাছে ফোন করেছিলেন। তিনি তাকে বলেন, নুহাশ পল্লীর উন্নয়নের জন্য অস্ট্রেলিয়া থেকে একটি বড় তহবিল এসেছে। এই টাকা অর্থ মন্ত্রণালয়ে জমা আছে। তাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন উপ-সচিবের মোবাইল নম্বর দিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন।
শাওন ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে উপ-সচিব পরিচয়ে একজন কথা বলেন এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা অর্থ স্থানান্তরের জন্য সরকারি ট্যাক্স বা ফি বাবদ ৩১ হাজার ৮৫০ টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পরিশোধ করতে বলেন। তিনি সরল বিশ্বাসে টাকা পাঠানোর পর সেই নম্বরটি বন্ধ পান। তখন তিনি প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন। এই ঘটনায় নুহাশ পল্লীর ম্যানেজার গত ১২ মে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন। ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ মামলা তদন্ত করে অভিযুক্ত প্রতারককে গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরও বলেন, প্রতারক রবিউল ২০১৯ সাল থেকে বিভিন্ন কৌশলে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে তাদেরকে কখনো ডেপুটি স্পিকার, কখনো বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সী ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব পরিচয় দিয়ে ফোন করতেন। বিদেশি অনুদানের প্রলোভন দেখিয়ে সরকারি ভ্যাট, ট্যাক্স ও প্রসেসিং ফি-এর নামে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে মোবাইল বন্ধ করে রাখতেন। এভাবে তিনি শতাধিক মানুষের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
মেহের আফরোজ শাওন বলেন, 'রবিউল ফোন করে এমনভাবে কৌশলে কথা বলেছে যে আমি তার প্রতারণা ধরতে পারিনি। যাচাই না করে টাকা পাঠানোয় আমার ভুল হয়েছে।'
Comments