ঘুরে দাঁড়ানোর আকাঙ্ক্ষায় এশিয়া কাপ খেলতে গেল বাংলাদেশ দল
সময়টা বড্ড খারাপ যাচ্ছে বাংলাদেশ দলের। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে লম্বা সময় ধরেই নেই সাফল্যের দেখা। একের পর এক হারে বিপর্যস্ত দলে এবার এসেছে কোচিং প্যানেল ও নেতৃত্বে বদল। মাঠের খেলাতেও বদল আনার তাড়নায় এশিয়া কাপ খেলতে গেলেন সাকিব আল হাসানরা।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় দুবাইর উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়ে যান ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফরা। তবে ভিসা জটিলতায় এদিন দলের সঙ্গে যেতে পারেননি তাসকিন আহমেদ ও এনামুল হক বিজয়। একদিন দেরিতে বুধবার তারা যাত্রা করবেন।
স্কোয়াডে শেষ মুহূর্তে আসা ওপেনার নাঈম শেখ ওয়েস্ট ইন্ডিজে 'এ' দলের সফর শেষে ওখান থেকেই এসেছেন দুবাই। তিনি সেখানেই যুক্ত হবেন দলে। এছাড়া বাকিরা সবাই উড়াল দিলেন ঢাকা থেকেই।
প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোকে টি-টোয়েন্টি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই তিনি নেই দলের সঙ্গে। নতুন টেকনিক্যাল পরামর্শক শ্রীধরন শ্রীরাম এবার সামলাবেন দলের দায়িত্ব। কোচিং স্টাফের বাকি সদস্যরাও সবাই ঢাকা থেকেই রওয়ানা হয়েছেন।
যাওয়ার আগের দিন সোমবার সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক সাকিব জানান, সীমাবদ্ধতার মধ্যেই সেরাটা দিয়ে লড়তে চান তারা, 'আমি বিশ্বাস করি আমরা ভালো দল। আমার যদি রিসোর্স ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারি...যদি একবার-দুইবার-তিনবার করে দেখাতে পারি, তাহলে বুঝতে হবে যে আমাদের সে সামর্থ্য আছে। এটা হচ্ছে আমরা কতোটা ধারাবাহিকভাবে করতে পারি, সেটা গুরুত্বপূর্ণ। যেটা আমরা শেষ কিছুদিন করতে পারছি না। সেটা করতে পারলে জেতা শুরু করব।'
৩০ অগাস্ট এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে নামবে বাংলাদেশ। ১ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। 'বি' গ্রুপ থেকে এই তিন দলের যেকোনো দুটি উঠবে সুপার ফোরে।
এশিয়া কাপে সর্বশেষ চার আসরের তিনবারই ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সংস্করণে হওয়া সর্বশেষ আসরেও সংযুক্ত আরব আমিরাতেই ফাইনাল খেলেছিল মাশরাফি মর্তুজার দল। তবে এবার পরিস্থিতি ভিন্ন, দলের বাস্তবতা কঠিন। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিবও কাজটা কঠিন মনে করছেন।
Comments