ফেনীতে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষে ছাত্রদলের ২০ নেতা-কর্মী আহত
ফেনীতে ছাত্রলীগ এবং ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষে ও ধাওয়-পাল্টা ধাওয়া ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ছাত্রদল ও যুবদলের অন্তত ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন দাবি করেন, 'জ্বলানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, পরিবহন খাতে ভাড়া বৃদ্ধি, অসহনীয় লোডশেডিং, ভোলায় গুলি করে ২ জনকে হত্যার প্রতিবাদে আজ বিকেল ৩টায় শহরের ইসলামপুর রোডে তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ছিল। বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা শহরের নানা এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দেয়। কিন্তু, সমাবেশ শুরুর আগে শহরের ইসলামপুর রোডের মাথা থেকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে সমাবেশ পণ্ডের চেষ্টা করে।'
তিনি আরও বলেন, 'এ সময় ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীরা তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেলে আমাদের অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে রাজাপুরের যুবদল নেতা জিয়া, ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রতন, সদস্য অর্পণ, ফেনী পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক খুরশিদ, ফাজিলপুরের শেখ আবদুল্লাহ, স্বেচ্ছাসেবক দলের রাব্বি, সাকিব, জাহিদুল ইসলাম শামীম, আবদুল্লাহ আল মামুন, শিপনের নাম জানা গেছে। তারা স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।'
তবে, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও ফেনী সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সহসভাপতি তোফায়েল আহম্মদ তপুর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছাত্রলীগ বিকেল ৩টার দিকে শহরে সন্ত্রাসবিরোধী মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়ক ঘুরে ফিরে আসার সময় ইসলামপুর রোডের মাথা পার হলে ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা পেছন থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে বাধ্য হয়ে ছাত্রলীগের কর্মীরাও আত্মরক্ষার্থে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। কিছুক্ষণ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। তবে, আমাদের কোনো কর্মী আহত হয়নি।'
জানতে চাইলে ফেনী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, শুক্রবার বিকেলে ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ সংঘর্ষ থামাতে ১৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ও টহল চলছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। পুলিশ ৩ জনকে আটক করেছে।
Comments