জাবিতে উপাচার্য প্যানেল নির্বাচন কাল, আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের ৩টি পক্ষ

ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনে আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকরা ৩টি আলাদা পক্ষে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আগামীকাল শুক্রবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সিনেট সভায় এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।   

নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোটপ্রাপ্ত ৩ জনের মধ্য থেকে একজনকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি ও আচার্য।

আজ বৃহস্পতিবার শিক্ষকদের পক্ষ থেকে ৩ পক্ষের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের নেতৃত্বে একটি পক্ষ অংশ নিচ্ছে। উপাচার্য সমর্থিত এ পক্ষের অন্য ২ জন হলেন 'বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের' সভাপতি, গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদের ডিন ও পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার এবং শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ।

অধ্যাপক নূরুল আলম,অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার এবং অধ্যাপক লায়েক সাজ্জাদ এন্দেল্লাহ। ছবি: সংগৃহীত

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. আমির হোসেনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন 'বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ' নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এই পক্ষের অন্য ২ সদস্য হলেন প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান এবং বাংলা বিভাগের অধ্যাপক পৃথ্বিলা নাজনীন নীলিমা।

অধ্যাপক মো. আমির হোসেন, অধ্যাপক পৃথ্বিলা নাজনীন নীলিমা ও অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্ববিদ্যালয়ের 'বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের' একাংশ আলাদা করে ৩ জনের নাম ঘোষণা করেছে। এই পক্ষে আছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফি, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক তপন কুমার সাহা এবং শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ-জেইউ) অধ্যাপক মো. মোতাহার হোসেন।

অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফি,অধ্যাপক মো. মোতাহার হোসেন এবং অধ্যাপক তপন কুমার সাহা। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, 'বর্তমান প্রশাসন গণতান্ত্রিক ধারায় বিশ্বাসী। তারই ধারায় উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। উপাচার্য প্যানেল নির্বাচনের জন্য সিনেটরসহ সবার সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করছি।'

আরেক পক্ষের নেতৃত্ব দেওয়া অধ্যাপক মো. আমির হোসেন বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য কাজ করার লক্ষ্যে আমরা প্যানেল ঘোষণা করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণাকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যেই আমরা নির্বাচনে এসেছি। নির্বাচিত হলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করব। এজন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটরদের সমর্থন প্রত্যাশা করছি।'

বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের একাংশের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফি বলেন, 'নির্বাচিত হলে ছাত্ররা যাতে সর্বোচ্চ সুবিধা পায় এ বিষয়গুলো আমরা দেখব। সিনেটরদের প্রতি আহ্বান, এমন কাউকে নির্বাচন করুন, যিনি ছাত্রদের কল্যাণে কাজ করতে পারেন। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম। কাজ করার সুযোগ পেলে নিজের প্রতিষ্ঠানের প্রতি সম্মান রেখে কাজ করব।'  

 

Comments

The Daily Star  | English

Pathways to the downfall of a regime

The erosion in the credibility of the Sheikh Hasina regime did not begin in July 2024.

8h ago