ভোলায় ছাত্রদল সভাপতি নিহতের ঘটনায় আদালতে মামলা
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) রাজনৈতিক কর্মসূচী চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নূর আলম নিহত হওয়ার ঘটনায় আদালতে মামলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নূর আলমের স্ত্রী ইফফাত জাহান বাদী হয়ে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, পরিদর্শক (তদন্ত) আরমান হোসেনসহ ৪৬ জনের নামে ও অজ্ঞাত ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন।
গত ৩১ জুলাই ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪টি মামলা হয়েছে। আজ দায়ের হওয়া মামলাটি ছাড়াও ভোলা সদর থানায় পুলিশ ২টি এবং নিহত জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিমের পক্ষ থেকে আদালতে মামলা করা হয়েছে। ৪টি মামলায় মোট আসামি প্রায় ৮০০ জন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ড. আমিনুল ইসলাম বাছেত জানান, ৩১ জুলাই বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হন নূরে আলম। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩ দিন পর ঢাকায় তার মৃত্যু হয়। পুলিশের গুলিতে নূর আলম মারা গেছেন দাবি করে তার স্ত্রী বাদী হয়ে আজ আদালতে মামলাটি করেন। মামলা নম্বর ৪১৫/২২।
তিনি আরও জানান, বিচারক আলী হায়দার কামাল মামলার এজাহার গ্রহণ করে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর মধ্যে তথ্য প্রমাণ আদালতে দাখিলের জন্য সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলায় পুলিশ সাব ইন্সপেক্টর মো. আনিসউদ্দিনের বিরুদ্ধে নূর আলমের মুখে ও মাথায় সরাসরি গুলি করার অভিযোগ করা হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহম্মদ এনায়েত হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, এ ঘটনায় সরকারি কাজে বাধা ও হত্যা মামলাসহ ২টি মামলা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় ৭৫ জনের নামে ও অজ্ঞাত অন্তত ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়াও, হত্যা মামলায় অজ্ঞাত ২৫০ জন থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে সাব ইন্সপেক্টর জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
Comments