কলেজে ফিরলেন অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস, ফুলের মালা দিয়ে বরণ

অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে কলেজে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। ছবি: সংগৃহীত

নড়াইলে লাঞ্ছিত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস কলেজে যোগ দিয়েছেন। আজ বুধবার তাকে ফুলের মালা দিয়ে বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রার মাধ্যমে কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।

এর মধ্য দিয়ে ৩৫ দিন পর মিজার্পুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজ খোলা হলো।

স্বপন কুমার বিশ্বাস আজ দুপুর ১২টার দিকে নড়াইল ১ আসনের সংসদ বি এম কবিরুল হক মুক্তির গাড়িতে কলেজে পৌঁছান। এ সময় কলেজ গেট হতে কলেজের পরিচালনা পর্ষদের প্রতিনিধি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, এলাকাবাসী, শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থীবৃন্দ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এরপর কলেজর হলরুমে বরণ অনুষ্ঠান হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এমপি বি এম কবিরুল হক মুক্তি, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক আব্দুস সালাম হাওলাদার, রেজিস্ট্রার মোল্যা মাহফুজ আল হুসাইন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন বিভাগের পরিচালক এ এস এম রফিকুল আকবর, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, মিজার্পুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের সভাপতি অ্যাডভোকেট অচিন কুমার চক্রবর্তী, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাস প্রমুখ।

অ্যাডভোকেট অচিন কুমার চক্রবর্তী ডেইলি স্টারকে বলেন, স্বপন কুমার বিশ্বাস সসম্মানে তার কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। কর্মস্থলে ফিরতে পেরে তিনি অবশ্যই খুশি হয়েছেন। আমরাও তার যোগদানকে আনন্দঘন করার জন্য সব রকমের পরিবেশ তৈরি করেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে। শিক্ষক প্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের মানুষ আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, 'আনুষ্ঠানিকভাবে যোগদানের পর আমি তাকে তার বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। পরিবারের সদস্যদের আশ্বস্ত করেছি তারা যেন নির্ভয়ে সসম্মানে বাড়িতে অবস্থান করেন।'

স্বপন কুমার বিশ্বাস দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত ১৮ জুন হতে পরিবার পরিজন ছেড়ে আত্মগোপনে অনেক কষ্টে দিনযাপন করতে হয়েছে। ভাবতেও পারিনি আমার সঙ্গে এমনটি করা হবে। কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি আমাকে ফাঁসিয়ে স্বার্থোদ্ধার করতে চেয়েছিল। আমার মতো অবস্থা যেন কারো জীবনে না ঘটে। আমাকে চরম অপদস্থ করার পর আমার মোটরসাইকেলসহ তিনটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সভ্য দেশে এমন অমানবিক নির্যাতনের বিচারের ভার আমি কার কাছে দেবো? একমাত্র সৃষ্টিকতার্র কাছেই আমার নালিশ, তিনি বিচার করবেন।'

তিনি আরও বলেন, 'কলেজে যোগ দিতে পেরে আমি খুশি। সব পক্ষ থেকে আমাকে অভয় দেওয়া হয়েছে কোনো অসুবিধা হবে না। যোগদানের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ছিল আশা করি সামনে ভালো পরিবেশ পাবো।'

'বাড়ি ফেরার কথা যা বলা হচ্ছে সেটা সঠিক না। আমি আজকে ও বাড়ি ফিরতে পারিনি। সেরকম পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। আরো কিছুদিন সময় লাগবে', বলেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English
India visa restrictions for Bangladeshi patients

A wake-up call for Bangladesh to reform its healthcare

India’s visa restrictions on Bangladeshi nationals, while initially perceived as a barrier, could serve as a wake-up call for Bangladesh to strengthen its healthcare system and regain the confidence of its patients.

12h ago