নড়াইলে শিক্ষক লাঞ্ছিত: গ্রেপ্তার নূর-নবী ৩ দিনের রিমান্ডে

অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় গ্রেপ্তার নুর-নবী। ছবি: সংগৃহীত

নড়াইলে মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার নূর-নবীর ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বুধবার দুপুরে নড়াইল সদর আমলি আদালতের বিচারক আমাতুল মোর্শেদা তার রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাহামুদুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, পুলিশ নূর-নবীকে আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিল।

গত ৩ জুলাই রাতে যশোরের মনিহার এলাকা থেকে নূর-নবীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নড়াইল সদর উপজেলার গোবরা কারিগর পাড়ার মৃত ফয়েজ চৌকিদারের ছেলে।

তাকে নিয়ে মামলায় মোট ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃত অপর ৪ আসামি রহমত উল্লাহ রনি গাজী, শাওন খান, মনিরুল ইসলাম ও সৈয়দ রিমন আলীকে গত রোববার ৩ দিনের রিমান্ডে দেন আদালত।

এদিকে অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছিত করার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে 'নিপীড়নের বিরুদ্ধে নড়াইল' ও 'হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার ফোরাম'।

অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসকে লাঞ্ছিত করার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে 'নিপীড়নের বিরুদ্ধে নড়াইল’ ও 'হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার ফোরাম' এর মানববন্ধন। ছবি: সংগৃহীত

বুধবার বেলা ১১টার দিকে আদালত সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।

এ সময় মুক্তিযোদ্ধা সাইফুর রহমান হিলু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র বোস, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ বাকী, ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি নজরুল ইসলাম, জাসদ নড়াইলের সভাপতি হেমায়েত উল্লাহ হিরু, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ওমর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পুলিশ জানায়, গত ১৮ জুন ভারতের বিজেপি নেতা নূপুর শর্মাকে সমর্থন করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন মির্জাপুর ইউনাইটেড ডিগ্রী কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী রাহুল দেব রায়।

পরে রাহুল কলেজে গেলে কয়েকজন উত্তেজিত শিক্ষার্থী তাকে ধাওয়া দেয়। ধাওয়া খেয়ে রাহুল কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের কক্ষে আশ্রয় নেন। এসময় শিক্ষার্থীরা রাহুলকে তাদের হাতে তুলে দিতে বলে।

শিক্ষক স্বপন কুমার বিষয়টি পুলিশকে জানালে ওই শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়। পরে স্থানীয় আরও কয়েকজন তাদের সঙ্গে যোগ দেয়।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলেও ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা শিক্ষক স্বপন কুমার ও শিক্ষার্থী রাহুল দেবের গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেয়।

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka airport receives 2nd bomb threat

Operations at HSIA continue amid heightened security

3h ago