‘এবারও নির্বিঘ্ন হবে উত্তরের ঈদ যাত্রা’

মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও যানজট নেই। ছবি: মির্জা শাকিল

গত রমজানের ঈদের মতো টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু-সিরাজগঞ্জ মহাসড়ক দিয়ে এবারের ঈদ যাত্রাও নির্বিঘ্ন হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এজন্য সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

আগামী ৬ তারিখ থেকে মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঈদ উপলক্ষে বিশেষ দায়িত্ব পালন শুরু করবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। 

আজ রোববার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লেও যানজট নেই।

তবে, বুধ ও বৃহস্পতিবার থেকে উত্তরের জেলাগুলোতে ঘরমুখো মানুষ এবং উত্তর থেকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কোরবানির পশুবোঝাই যানবাহনের চাপ বাড়বে বলে মনে করছে হাইওয়ে পুলিশ।

বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোসাদ্দেক হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে মানুষের বাড়ি ফেরা ভোগান্তিমুক্ত করতে রমজানের ঈদের মতো এবারও নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দু'একদিনের মধ্যে সিরাজগঞ্জের নবনির্মিত নলকা সেতুর অপর লেনটিও খুলে দেওয়ার কথা আছে। এছাড়া পুরাতন সেতুটিতো আছেই।

পদ্মা সেতু খুলে দেওয়ায় এবার ঈদে এই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কমবে বলে জানান তিনি।

'তবে গত ঈদে ১০ দিনের ছুটি থাকায় মানুষ সহজে গন্তব্যে যেতে পারলেও এবার মাত্র ৪ দিনের ছুটি। এছাড়া, ঢাকা-টাঙ্গাইল চার লেন মহাসড়ক দ্রুতগতিতে পার হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তের দুই লেন সংযোগ সড়কে প্রবেশের পর যানবাহনের গতি ধীর হয়ে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হতে পারে,' তিনি বলেন।

তিনি আরও বলেন, 'এরপরও আমাদের আশা দুর্ঘটনা না ঘটলে কোনো ভোগান্তি ছাড়াই প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি ফিরতে পারবেন মানুষ।'

বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আতাউর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তের দুই লেন সংযোগ সড়কে যেন যানজট সৃষ্টি না হয় সেজন্য গত ঈদের মতো এবারও বিশেষ পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, 'গত ঈদের মতো এবারেও ঢাকামুখী যানবাহন বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তে ভূঞাপুরের বিকল্প সড়ক ব্যবহার করবে। তবে, কোরবানির পশুবাহী যানবাহন সংযোগ সড়কই ব্যবহার করতে পারবে।'

'মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সক্রিয় থাকবে। আশাকরি কোনো সমস্যা হবে না,' যোগ করেন তিনি।    

এদিকে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী গতকাল টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক মতবিনিময় সভায় আশ্বস্ত করে বলেছেন, 'ঈদুল আযহায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক যানজট মুক্ত রাখতে এবং দুর্ঘটনা কমাতে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, সড়ক বিভাগ, সাসেক, বিআরটিএ, পৌরসভা, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট সকলেই দায়িত্ব পালন করবেন। এতে নির্বিঘ্নে ঘরে ফিরতে পারবেন মানুষ।'

হাইওয়ে পুলিশ জানায়, উত্তরের গেট হিসাবে পরিচিত ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু-সেতু-সিরাজগঞ্জ মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গের ১৬টি এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ৫টিসহ মোট ২৬টি জেলার ১১৬টির বেশি রুটের যানবাহন চলাচল করে। প্রতিবছর ঈদের আগে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে এই মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তির শিকার হন ঘরমুখো মানুষ।  

Comments

The Daily Star  | English

Beximco workers' protest turns violent in Gazipur

Demonstrators set fire to Grameen Fabrics factory, vehicles, vandalise property

2h ago