ঈদযাত্রা

বঙ্গবন্ধু সেতুতে ২৪ ঘণ্টায় ২ কোটি টাকা টোল আদায়

বঙ্গবন্ধু সেতু
বঙ্গবন্ধু সেতু টোল প্লাজা। ছবি: সংগৃহীত

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মহাসড়কে ইতোমধ্যে যানবাহনের চাপ বেড়ে গেছে। ঈদের ছুটির আগেই ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের ভিড় শুরু হয়েছে। 

ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার ও টোল আদায় বেড়ে গেলেও, মহাসড়কে যান চলাচল এখনো স্বাভাবিক।

আজ মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সোমবার ভোর ৬টা থেকে আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সেতু দিয়ে ছোট-বড় ২২ হাজার ৪৮৫টি যান পারাপার হয়েছে এবং এসব যানবাহন থেকে মোট ২ কোটি ৯ লাখ ৬৪ হাজার ৫০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। বছরের অন্যান্য সময় এ সেতু দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ১০-১২ হাজার যানবাহন পার হয়।

এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বে টাঙ্গাইল অংশ দিয়ে ১১ হাজার ৫৫৮টি যানবাহন পার হয়েছে ও টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩ লাখ ১৬ হাজার টাকা। সেতুর পশ্চিমে সিরাজগঞ্জ অংশ দিয়ে ১০ হাজার ৯২৭টি যানবাহন পার হয়েছে ও টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৬ লাখ ৬২ হাজার ৯০০ হাজার টাকা।

বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'ঈদে সেতু দিয়ে নির্বিঘ্নে যানবাহন পারাপারের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মোটরসাইকেল পারাপারের জন্য অতিরিক্ত ২টি টোল বুথ সংযোজন করা হয়েছে।'

এদিকে আজ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক এবং বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব সংযোগ সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত যানবাহন ও যাত্রীর ভিড় দেখা গেছে।

মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। 

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিন হায়দার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঈদে মানুষের নির্বিঘ্নে ঘরে ফেরা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। এজন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।' 

তিনি জানান, গত ১৬ এপ্রিল থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ১০টি মোবাইল টিম কাজ করছে। মহাসড়কে ৩টি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। 

মহাসড়ক থেকে দুর্ঘটনা কবলিত যানবাহন সরিয়ে নিতে টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ অংশে ৬টি করে মোট ১২টি রেকার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, প্রস্তুতি তদারকি করতে ইতোমধ্যে সেতু বিভাগের সচিব এবং সড়ক পরিবহন বিভাগের সচিবসহ বিআরটিএ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ টাঙ্গাইল এসে রাস্তা, রাস্তার কাজ ও অন্যান্য প্রস্ততি পরিদর্শন এবং সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

তিনি বলেন, 'আশাকরি কোনো ধরনের ভোগান্তি ছাড়াই প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে ঘরে ফিরতে পারবে মানুষ। কোথাও কোনো সমস্যা যেন না হয়, সেজন্য আমরা প্রস্তত আছি।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh's garment export to US

Some Walmart garment orders from Bangladesh on hold due to US tariff threat

Bangladesh negotiating with US to lower tariffs amid business uncertainty

8m ago