ভারতে ১৯ ধরনের প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ

ভারতে প্লাস্টিকের পরিবর্তে বিকল্প পণ্য ব্যবহারের প্রচারণা
ভারতে প্লাস্টিকের পরিবর্তে বিকল্প পণ্য ব্যবহারের প্রচারণা। ছবি: এপি

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পর্যায়ক্রমে দেশটি থেকে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ করার উদ্যোগের অংশ হিসেবে আজ কিছু প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে।

আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা এপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রথম পর্যায়ে, সরকার ১৯টি প্লাস্টিক পণ্য চিহ্নিত করেছে, যেগুলো খুব একটা কাজে আসে না, কিন্তু এদের প্রত্যেকেরই রয়েছে পরিবেশকে দূষিত করার সক্ষমতা। শুক্রবারের ঘোষণা অনুযায়ী, এই পণ্যগুলো উৎপাদন, আমদানি, মজুদ, বিতরণ অথবা বিক্রি করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

নিষিদ্ধ ঘোষিত পণ্যের মধ্যে আছে প্লাস্টিকের কাপ, স্ট্র ও আইস ক্রিমের লাঠি। ভারত সরকার জানিয়েছে, সেসব পণ্যই নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যেগুলোর বিকল্প খুব সহজেই পাওয়া যায়, যেমন বাঁশের চামচ ও কাঠের তৈরি আইসক্রিমের লাঠি।

আরও হাজারও প্লাস্টিকের পণ্য এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রয়েছে, যেমন প্লাস্টিকের ব্যাগ, পানি ও সফট ড্রিংকসের বোতল এবং চিপস এর প্যাকেট। তবে কেন্দ্রীয় সরকার এসব পণ্যের উৎপাদকদের জন্য পুনচক্রীকরণ অথবা ব্যবহারের পর বর্জনের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।

বাংলাদেশের মত ভারতের প্লাস্টিকের গ্লাস বহুল ব্যবহৃত
বাংলাদেশের মত ভারতেও প্লাস্টিকের গ্লাস বহুল ব্যবহৃত। ছবি: রয়টার্স

প্লাস্টিক পণ্য নির্মাতারা মূল্যস্ফীতি ও অনেক মানুষের চাকুরি হারানোর সমস্যাগুলো উল্লেখ করে সরকারকে এই নিষেধাজ্ঞা স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়েছে। তবে ভারতের কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী ভূপেন্দর যাদব নয়া দিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ১ বছর আগে থেকেই এই নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সবাইকে জানানো হচ্ছে।

'এখন সময় ফুরিয়ে গেছে', যোগ করেন ভূপেন্দর যাদব।

এর আগেও ভারতে প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে সারা দেশের পরিবর্তে নির্দিষ্ট কিছু রাজ্যে চালুর ফলে প্রত্যাশা অনুযায়ী সাফল্য আসেনি। বিশ্লেষকদের মতে, দেশব্যাপী প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধের পাশাপাশি এর উৎপাদন ও আমদানি নিষিদ্ধ একটি উপযোগী সিদ্ধান্ত।

বিশ্বের বেশিরভাগ অঞ্চলে প্লাস্টিকের পুনচক্রীকরণ করা হয় না। যার ফলে লাখো টন প্লাস্টিক সমুদ্রগুলোকে দূষিত করে, প্রাণিজগতের ওপর বিরূপ প্রভাব আনে এবং খাওয়ার পানির সঙ্গে মিশে যেয়ে একে বিষাক্ত করে তোলে। বিজ্ঞানীরা এখনো একেবারে ছোট আকারের প্লাস্টিক বা মাইক্রোপ্লাস্টিকের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে গবেষণা করছেন। ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে দেশটিতে ৪১ লাখ মেট্রিক টন প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়।

গবেষণা সংস্থা আওয়ার ওয়ার্ল্ড ইন ডেটা'র দেওয়া তথ্য মতে, ২০১৯ সালে ভারতে প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মেট্রিক টন প্লাস্টিক বর্জ্য পরিবেশে ছড়িয়ে পড়ে। সে বছর এটাই বিশ্বে প্লাস্টিক বর্জ্যের সর্বোচ্চ পরিমাণ ছিল।

 

Comments

The Daily Star  | English

Police, Bida launch special security measures for foreign investors

Held meeting with officials of foreign companies, introduced dedicated emergency contact line

1h ago