বন্যা: কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাটে ৩৩৭ বিদ্যালয় বন্ধ

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় সাতকালুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ২২ জুন ২০২২। ছবি: এস দিলীপ রায়/ স্টার

বন্যার কারণে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাটে ৩৩৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম এক সপ্তাহ ধরে বন্ধ আছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে কুড়িগ্রামে ৩০৫টি। বাকি ৩২টি লালমনিরহাটে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ৩১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বাকি ২টি স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা অফিস ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে চর যাত্রাপুর এলাকার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী শরিফুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে জানায়, বন্যার পানিতে তাদের ঘরের আসবাবপত্র ভেসে গেছে। তার বই-খাতা, কলমও ভেসে গেছে। স্কুল চালু হলে কীভাবে পড়াশুনা করবে এটা নিয়ে তার দুশ্চিন্তা।

শরিফুল ইসলামের বাবা আতিকুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে জানান, তারা বাড়ি-ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন সরকারি রাস্তার উপর। পলিথিন মোড়ানো ঝুপড়ি ঘরে ৬ জনের পরিবার কোনরকমে বসবাস করছেন গেল এক সপ্তাহ ধরে। ছেলের বই-খাতা, কলমসহ বাড়ির আসবাবপত্র বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর ডেইলি স্টারকে জানান, বানভাসি পরিবারের অনেক শিক্ষার্থীর বই-খাতা, কলম বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। অনেক বানভাসি মানুষ তাকে এ বিষয়ে জানিয়েছেন। তিনি বিষয়টি শিক্ষা অফিসকে অবহিত করেছেন। বন্যার পানি নামার পর স্কুলে পাঠদান শুরু হলে বানভাসি পরিবারের শিক্ষার্থীদের নতুনভাবে বই দিয়ে সহযোগিতার দাবি জানান তিনি।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার সারডোব সাতকালুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী খালিদ হাসান ডেইলি স্টারকে জানায়, গেল আটদিন ধরে তাদের স্কুল বন্ধ। বিদ্যালয় মাঠে গ্রামের লোকজন জাল দিয়ে মাছ ধরছেন। স্কুল বন্ধ থাকায় পড়াশুনা করতে পারছে না তারা।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, বন্যার পানি নেমে গেলে বিদ্যালয়গুলোতে পুনরায় পাঠদান কার্যক্রম চালু করা হবে। অনেক বিদ্যালয় বানভাসিদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যে সব শিক্ষার্থীর বই বন্যার পানিতে ভেসে গেছে তাদেরকে নতুন করে বই দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

‘Shockingly insufficient’

"The proposed decision to allocate USD 250 billion per year for all developing countries is shockingly insufficient," said the adviser

1h ago