রৌমারীতে আকস্মিক ঢলে পানিবন্দি ২০ গ্রামের মানুষ

শনিবার বিকালে রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নে পুরাতন যাদুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থৈথৈ করছে ঢলের পানি। ছবি: সংগৃহীত

টানা বর্ষণ ও আজ শনিবার বিকেলে উজানে ভারত থেকে নেমে আসা আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ২০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রায় শতাধিক হেক্টর জমির পাট ও শাকসবজি তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা। বর্তমানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌকা ও কলাগাছের ভেলা। উপজেলার ২১টি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও পানি উঠেছে।

পুরাতন যাদুরচর এলাকার বাসিন্দা আক্কেল মিয়া (৬৫) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এমনিতে কয়েকদিনের টানা বর্ষণে খালবিলে পানি থৈথৈ করছেন। শনিবার বিকালে উজানে ভারত থেকে আকস্মিক পাহাড়ি ঢল নামায় এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ঘরের মধ্যে পানি ঢুকে পড়েছে।'

যাদুরচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সরবেশ আলী বলেন, 'বন্যার পানিতে যাদুরচর ইউনিয়নের ২০০ বসতভিটা তলিয়ে গেছে। কলাগাছের ভেলা আর নৌকায় চড়ে লোকজনকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। আকস্মিক বন্যার কারণে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।'

রৌমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আজিজুর রহমান বলেন, 'আকস্মিক বন্যার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জরুরিভিত্তিতে ত্রাণ সহায়তা বরাদ্দের আবেদনও করা হয়েছে।'

রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাউয়ুম চৌধুরী বলেন, 'অতিবৃষ্টি ও আকস্মিক পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। শতাধিক হেক্টর জমি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত।'

রৌমারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, 'উপজেলার ২১টি বিদ্যালয় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে ১৩টি বিদ্যালয় যাদুরচর ইউনিয়নে। পানিবন্দি এলাকার বিদ্যালয়গুলোর নিয়মিত কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।'

রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, 'আকস্মিক বন্যার কবলে দুর্গত এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে। পানিবন্দি পরিবারের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English
India visa restrictions for Bangladeshi patients

A wake-up call for Bangladesh to reform its healthcare

India’s visa restrictions on Bangladeshi nationals, while initially perceived as a barrier, could serve as a wake-up call for Bangladesh to strengthen its healthcare system and regain the confidence of its patients.

12h ago