মালয়েশিয়ায় পি কে হালদারের ৭ ‘লাক্সারিয়াস রেসিডেন্সিয়াল প্রপার্টি’র খোঁজ পেয়েছে ইডি

পি কে হালদারকে গত ১৪ মে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গ্রেপ্তার করে। ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় পি কে হালদারের ৭ 'লাক্সারিয়াস রেসিডেন্সিয়াল প্রপার্টি'র খোঁজ পেয়েছে ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।

বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে আজ মঙ্গলবার আদালতে হাজির করে ইডি এ তথ্য জানিয়েছে।

ইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পি কে হালদারকে অর্থপাচার মামলায় আরও ১৪ দিনের রিমান্ডে দিয়েছেন কলকাতার বিশেষ আদালত।

আগের ১১ দিনের রিমান্ড শেষে আজ মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

পি কে হালদারের সঙ্গে ভারত ও মালয়েশিয়ায় অন্তত ৪৪টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে বলে ইডি আদালতে জানায়।

কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন সূত্র দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ইডি জানায়, পি কে হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলোতে প্রায় ৫০ কোটি রুপির খোঁজ পাওয়া গেছে। এছাড়া মালয়েশিয়ায় পি কে হালদারের ৭টি 'লাক্সারিয়াস রেসিডেন্সিয়াল প্রপার্টি'র খোজ পাওয়া গেছে।

পি কে হালদারকে গত ১৪ মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার অশোকনগর থেকে আরও ৫ বাংলাদেশির সঙ্গে গ্রেপ্তার করে ইডি।

গ্রেপ্তারের পর পি কে হালদারকে আদালতে হাজির করলে আদালত তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।

রিমান্ড শেষে ১৭ মে তাকে আদালতে হাজির করলে, তাকে আবার ১০ দিনের রিমান্ডে দেওয়া হয়।

পরে গত ২৭ মে আবার তাকে ১১ দিনের রিমান্ডে দেন আদালত।

গ্রেপ্তারের পর ইডি জানিয়েছিল, পশ্চিমবঙ্গ থেকে রেশন কার্ড, ভারতীয় ভোটার আইডি কার্ড, স্থায়ী অ্যাকাউন্ট নম্বর ও আধার কার্ডের মতো বিভিন্ন সরকারি পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেছেন পি কে হালদার।

তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে এসব পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে শিবশঙ্কর হালদার নামে নিজেকে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে পরিচয় দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে অবস্থান করছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Leading univs withdrawing from cluster system

Session delays, irregularities, and lack of central planning cited as reasons

11h ago