অভিযানের পর চালের দাম কমতে শুরু করেছে: খাদ্যমন্ত্রী

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত

অবৈধ মজুতের বিরুদ্ধে অভিযানের ফলে চালের দামে নিম্নগতি এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

আজ রোববার সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে 'আন্তর্জাতিক নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড ২০২২ এর লেগো উন্মোচন এবং আনুষ্ঠানিক ঘোষণা' অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, গত সোমবার কেবিনেট বৈঠকে ধান-চালের অবৈধ মজুতের বিরুদ্ধে অভিযান নিয়ে আলাপ হয়। মঙ্গলবার বিকেল থেকে আমরা অভিযান শুরু করি। বুধবার থেকে অভিযান সারাদেশে শুরু হয়। সারাদেশে একসঙ্গে সাঁড়াশি অভিযানের মতো আমাদের এটা চলছে। বুধ-বৃহস্পতিবারও অভিযান হয়েছে। শুক্র-শনিবার বন্ধের দিনেও আমাদের অভিযান চলেছে।

মন্ত্রী বলেন, আমরা অনেক জায়গায় অনেক চাল অবৈধ মজুত পেয়েছি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় বাজারে চালের দামের নিম্নগতি রয়েছে, একেবারে নিয়ন্ত্রণ হয়েছে, এ কথা আমি বলবো না। আমরা কাজ করছি। এটা আমরা অব্যাহত রাখবো।

অভিযানের পর একটি বিষয় পরিলক্ষিত হচ্ছে, আসল চিত্রটা আমরা পাচ্ছি। মজুত কত আছে, অবৈধ মজুদ কত আছে, আমরা যা বলছি সেই পরিমাণ মজুদ আছে কিনা? টোটাল একটা হিসাবের মধ্যেও আমরা আসতে পারছি।

আগামীকাল মঙ্গলবার খাদ্য বিষয়ে সরকারের সর্বোচ্চ কমিটি খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সেই মিটিং-এ আমরা এ বিষয়গুলো নিয়ে বিন্তারিত আলোচনা করব, বাজারদর নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আর কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

চালের দাম কবে কমবে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কমতে শুরু করেছে তবে কবে কমবে এটা সুনির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে যেখানে অভিযোগ পাচ্ছি সেই সব মিলে আমরা অভিযান চালাচ্ছি।

এর আগে অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড তরুণ ও কিশোর কিশোরীদের উদ্ভাবনী সক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে পুষ্টি বিষয়ে তৃণমূলে সচেতনতা তৈরি করবে।

তিনি বলেন, নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড আমাদের তরুণদের জন্য একটি বড় প্লাটফরম, যেখানে অন্য দেশের তরুণদের সঙ্গে চিন্তা ভাবনা বা অভিজ্ঞতা শেয়ার করার সুযোগ তৈরি করে দেবে।

অনুষ্ঠানে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. শাহিদুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের প্রফেসর নাজমা শাহিন, ফুড প্রকিউরিং এন্ড মনিটরিং ইউনিট এর মহাপরিচালক মো. শহীদুজ্জামান ফারুকী, গ্লোবাল এ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশন এর কান্ট্রি ডিরেকটর রুদাবা খন্দকার এবং বাংলাদেশ ইনষ্টিটিউট অব আইসিটি ইন ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের সিইও শহিদ উদ্দিন আকবর বক্তব্য রাখেন।

Comments

The Daily Star  | English
The Indian media and Bangladesh-India relations

The Indian media and Bangladesh-India relations

The bilateral relationship must be based on a "win-win" policy, rooted in mutual respect, non-hegemony, and the pursuit of shared prosperity and deeper understanding.

6h ago