নতুন পরিচয়ে নারায়ণগঞ্জে লুকিয়ে ছিলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গি আবদুল হাই
২০০০ সালে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মুফতি আবদুল হাই নাম পরিবর্তন করে ২০০৯ সালে নারায়ণগঞ্জে বসবাস শুরু করেন।
পরিচয় লুকাতে হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী বাংলাদেশের (হুজি-বি) প্রতিষ্ঠাতা আমির আবদুল হাই তার নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) পরিবর্তনের পাশাপশি পরিবারের সবার এনআইডি পরিবর্তন করেন।
নারায়ণগঞ্জে থাকা অবস্থায় তাকে খুব কম সময়েই বাইরে দেখা যেত।
২০০১ সালে রমনা বটমূলে বোমা হামলার মামলাতেও মৃত্যুদণ্ডপাপ্ত এই জঙ্গি এভাবেই ২০০৬ সাল থেকে আত্মগোপন করে ছিলেন।
গতকাল নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে গ্রেপ্তারের ১ দিন পর আজ এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন আবদুল হাই সম্পর্কে এসব তথ্য জানান।
কমপক্ষে ১৩টি মামলায় অভিযুক্ত এই প্রবীণ জঙ্গিকে আরও দুটি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানান মঈন।
২০০৬ সালে হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি সামনে আসার পর মুফতি হাই প্রথমে কুমিল্লার গৌরিপুর উপজেলায় শ্বশুর বাড়ির কাছাকাছি একটি জায়গায় আত্মগোপন করেন। পরে তিনি নারায়ণগঞ্জে আসেন।
আবদুল হাই ছিলেন ঢাকার খিলগাঁও এলাকা থেকে প্রকাশিত 'জাগো মুজাহিদ' নামের একটি সংবাদপত্রের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক। এই পত্রিকার কার্যালয়েই তার সহযোগী মুফতি হান্নানসহ অন্যান্য জঙ্গিরা সভা করতেন।
২০০০ সালে সরকার পত্রিকাটি নিষিদ্ধ করে। সে বছরই আবদুল হাইকে গ্রেপ্তার করা হলেও ২ মাস পর জামিনে মুক্তি পান তিনি।
Comments