পটুয়াখালী

কলাপাড়ায় বেড়িবাঁধে ভাঙন, দুর্ভোগে নদী পাড়ের মানুষ

ছবি: স্টার

পাঁচ সদস্যের পরিবার নিয়ে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার রাবনাবাদ নদীর আধা বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধের ওপর বসতি গড়েছিলেন মৎস্যজীবী জাহাঙ্গীর শিকদার। ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে বাঁধটির প্রায় ৫০০ ফুট অংশ ভেসে গেছে। এ অবস্থায় পরিবার নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

ঘরের আসবাবপত্রসহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে তাকে ঠাঁই নিতে হয়েছে অন্য একটি বেড়িবাঁধে। ভাঙনের কারণে বছর বছর ঘর পাল্টাতে গিয়ে নাজেহাল হয়ে পড়েছেন জাহাঙ্গীর।   

জাহাঙ্গীর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নদীর ভাঙনে অনেক আগেই ভূমিহীন হয়েছি। তাই বেড়িবাঁধের ওপর ঝুপড়ি তুলে থাকতে হয়।'

জাহাঙ্গীরের মতো রামনাবাদ নদীর পাড়ের চান্দুপাড়া গ্রামের প্রায় অর্ধশত পরিবার তাদের বসতভিটা হারিয়েছেন। যাদের সঙ্গতি আছে, তারা অন্য জায়গায় চলে গেছেন। আর যাদের সঙ্গতি নেই তারা গ্রামের পাশে বেড়িবাঁধের ওপর ঝুপড়ি তুলে মাথা গোঁজার ঠাঁই তৈরি করেছেন।

বেড়িবাঁধ ভাঙনে আশ্রয় হারানো আরেক জেলে আবুল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, জমি-জমা না থাকায় বেড়িবাঁধে ঝুপড়ি তুলে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু জোয়ারের পানির চাপে বেড়িবাঁধ ভেসে যাওয়ায় এখন তারা বিপদে পড়েছেন। আবার নতুন করে ঝুপড়ি তুলবেন সে সামর্থ নেই।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জাফর আলী হাওলাদার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, এ বছর ঈদের আগে পায়রাবন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে রামনা নদীর পাড়ে অর্ধ বিধ্বস্ত বেড়িবাঁধটির কিছু অংশ মেরামত করা হয়েছিল। সেটাও এবার প্রবল জোয়ারের চাপে ভেসে গেছে। এখন অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি গ্রামের মধ্যে ঢুকছে। এর ফলে চান্দুপাড়া, মুন্সিপাড়া, বুরোজালিয়া, নাওয়াপাড়াসহ ৭-৮টি গ্রামের মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কলাপাড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, রাবনাবাদ নদীর পাড়ের লালুয়া ও চম্পাপুর ইউনিয়নের দেবপুর গ্রামের আড়াই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হয়েছে। নির্মানাধীন নৌঘাঁটি এলাকায় প্রায় ২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজ চলছে। চলমান এ কাজটির কিছু অংশ জোয়ারের চাপে ভেসে গেছে। 

এসব বিধ্বস্ত বাঁধ মেরামতের জন্য পাউবোর প্রায় ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, 'পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের উদ্যোগেলালুয়া এলাকার প্রায় ৬ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজ করা হবে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Fire breaks out at Korail slum

Five fire engines are rushing to the spot after the blaze originated around 4:15pm

7m ago