আদিতমারীতে কৃষিজমি থেকে ইটভাটা সরানোর দাবি
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়নের দৈলজোড় গ্রামে কৃষিজমি থেকে অবৈধ ইটভাটা সরানোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
ইটভাটাটির কারণে এলাকায় কৃষি জমিতে ফসল ও ফল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে বলে তারা জানিয়েছেন।
কৃষকরা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিম হায়দার প্রভাব খাটিয়ে গত অক্টোবরে কৃষিজমির ওপর এসটিবি ইটভাটা করেন। তিনি স্থানীয় কৃষকদের বিষয়টি জানাননি। কৃষকরা এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসে অভিযোগ করলেও কোনো সুরাহা হয়নি।
এসটিবি ইটভাটাটির মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা তার বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদ করার সাহসও পাচ্ছেন না।
কৃষক আনোয়ারুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দ্রুত ইটভাটাটি নির্মাণ করে চলতি বছর ইট তৈরিও শুরু হয়। কৃষিজমি থেকে বিপুল পরিমাণে টপসয়েল সংগ্রহ করেন ভাটার মালিক সেলিম হায়দার। এখানকার জমিতে বছরে ৩ বার ফসল হয়। ভাটাটি এখানে থাকলে কৃষিজমিতে আশানুরূপ ফসল হবে না।'
এসটিবি ইটভাটার মালিক আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সেলিম হায়দার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সব ধরনের বিধি মেনে ভাটা করেছি। চলতি বছরে ইট করেছি। ইটভাটা হওয়ায় স্থানীয় শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।'
'পরিবেশ অধিদপ্তরে আবেদন করেছি, তবে অনুমোদন এখনো পাইনি,' যোগ করেন তিনি।
অনুমোদন পাওয়ার আগে ইটভাটা চালুর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এটা শুধু আমিই করিনি। সব মালিকই এভাবে ভাটা পরিচালনা করছেন।'
রংপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মেজ-বাবুল আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'লালমনিরহাটে এসটিবি নামে কোনো ইটভাটার অনুমোদন নেই। কোনো আবেদনও পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
আদিতমারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলী নূর ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এসটিবি ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আপত্তি জানানো হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।'
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জি আর সারওয়ার ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অবৈধভাবে নির্মিত এসটিবি ইটভাটার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।'
Comments