সংলাপে ‘না’ যাওয়া প্রসঙ্গে সিপিবি

‘রাষ্ট্রপতির নিয়োগ দেওয়া ব্যক্তি ৩০ তারিখের নির্বাচন ২৯ তারিখ রাতে করেছেন’

‘রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এমন একজনকে নিয়োগ দিলেন বা দিতে বাধ্য হলেন, যে ব্যক্তি ৩০ তারিখের নির্বাচন ২৯ তারিখ রাতে করে প্রহসনের একটা কুৎসিত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।’

'রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এমন একজনকে নিয়োগ দিলেন বা দিতে বাধ্য হলেন, যে ব্যক্তি ৩০ তারিখের নির্বাচন ২৯ তারিখ রাতে করে প্রহসনের একটা কুৎসিত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।'

রাষ্ট্রপতির ডাকা সংলাপে না যাওয়ার কারণ হিসেবে কথাগুলো বলছিলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।

আজ রোববার দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আগামীকাল সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সংলাপের জন্য সিপিবিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

সংলাপে অংশ না নেওয়ার কথা উল্লেখ করে একটি চিঠিতে 'নির্বাচন কমিশন আইন' প্রণয়নে রাষ্ট্রপতিকে উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে সিপিবি।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিষয়ে মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, 'রাষ্ট্রপতি একটা ভুল মানুষকে নিয়োগ দেওয়ার ফলে এই সমস্যা হয়েছে। এটার জন্য আমি আশা করি তিনি দুঃখিত হবেন। কিন্তু তিনি তো মানুষকে বলবেন যে, আমি দুঃখিত, আমি ভুল মানুষকে নিয়োগ দিয়েছিলাম। তাহলে না বুঝবো যে গতবারের চেয়ে এবার ব্যতিক্রম কিছু হবে। কিন্তু তিনি তা করেননি।'

মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, 'তিনি (রাষ্ট্রপতি) পরামর্শ চান কিন্তু আমাদের পরামর্শ কার্যকর করার এখতিয়ার তার নেই। তাকে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে কাজ করতে হয়। এর বাইরে কারো পরামর্শ বা নিজের বিবেক-বুদ্ধি অনুযায়ী তিনি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।'

তিনি বলেন, 'যেসব বিষয়ে আলোচনার জন্য তিনি আমাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন আমরা সেসব বিষয় গতবার আলোচনা করে এসেছি। নতুনভাবে কোনো বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনার প্রয়োজন মনে করছি না।'

সিপিবি সভাপতি বলেন, 'আমরা গতবার ৫৩টি সুপারিশ করেছি, সেগুলোতে কর্ণপাত করা হয়নি। কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, তা সবাই জানেন। কিন্তু তিনি তা না করে আমাদের ডেকেছেন। তার সঙ্গে বৈঠকে গিয়ে ছবি তোলার তো কোনো মানে হয় না।'

ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য সংগ্রাম আরও জোরদার করার কথা জানিয়ে সিপিবি সভাপতি বলেন, 'আমাদের পুরো সিস্টেম পরিবর্তন করতে হবে। যে দল যত শতাংশ ভোট পাবেন সে দল তত শতাংশ আসন পাবেন। টাকা, পেশি শক্তি, ম্যানিপুলেশন, কমিউনালিজম-এগুলো থেকে নির্বাচন ব্যবস্থাকে মুক্ত করতে হবে। নমিনেশন কেনাবেচা বন্ধ করতে হবে। গণতন্ত্রের বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে।'

সিপিবি ছাড়াও ইতোমধ্যে বাসদ, বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সংলাপে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Five crisis-hit banks secure BB guarantee for liquidity

Five crisis-hit banks have obtained a Bangladesh Bank (BB) guarantee to avail liquidity support from the inter-bank money market, according to central bank officials.

1h ago