দিল্লির যুদ্ধ প্রস্তুতিতে ‘যতটা উদ্বিগ্ন, তার থেকে বেশি অবাক’: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

‘আমি কোনো অবস্থাতেই মনে করি না যে ভারতের সঙ্গে আমাদের কোনো যুদ্ধ-বিগ্রহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, যুদ্ধের প্রস্তুতির বিষয়ে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের বক্তব্যে তিনি 'অবাক'।

আজ রোববার দুপুরে নিয়মিত প্রেস বিফ্রিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, 'আমি যতটা উদ্বিগ্ন, তার থেকে বেশি অবাক যে তিনি এ ধরনের কথা কেন বললেন।'

গত ৫ সেপ্টেম্বর ভারতের লখনৌতে জয়েন্ট কমান্ডার কনফারেন্সের শেষদিনে নিজের বক্তব্যে রাজনাথ বলেছেন, শান্তিপ্রিয় ভারতের সশস্ত্র বাহিনীকে শান্তি রক্ষার জন্য যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

রাজনাথ দেশটির শীর্ষ সামরিক নেতৃত্বকে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-হামাসের সংঘাত বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যতে ভারত কী ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে তা নিরূপণ করে 'অপ্রত্যাশিত' যেকোনো কিছু মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে বলেছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'তিনি কেন এমন মন্তব্য করেছেন, তার কোনো কারণ খুঁজে পাই না।'

তিনি বলেন, 'আমি কোনো অবস্থাতেই মনে করি না যে ভারতের সঙ্গে আমাদের কোনো যুদ্ধ-বিগ্রহ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এটা তিনি তার নিজের দেশের কনজাম্পশনের জন্য বলেছেন কি না, সেটা আমাদের বুঝতে হবে। আর তিনি যেভাবে কথাটা বলেছেন, সেটা বিটিং এরাউন্ড দ্য বুশ অনেকটা।'

'কারণ, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ভারতের প্রস্তুতির কোনো প্রয়োজন আমি দেখি না। বা হামাসের সঙ্গে যা হচ্ছে তাতেও ভারতের কী সম্পর্ক! ইউক্রেন এবং হামাস ইস্যুর সঙ্গে বাংলাদেশ কীভাবে তুলনীয় হয় এটাও আমার বোধগম্যতার বাইরে,' যোগ করেন তিনি।

শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, 'রাজনৈতিক আশ্রয় যে কাউকে যেকোনো দেশ দিতে পারে। দেওয়া উচিত কি না, এ ক্ষেত্রে সেটা দেখার বিষয়।'

'আর একজন রোহিঙ্গাকেও আশ্রয় দিতে রাজি না' উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারপরও 'কিছু ঢুকে যাচ্ছে এটা আমরা জানি। সেটাকে আমরা যতটুকু পারা যায় ঠেকানোর চেষ্টা করছি। বিজিবি প্রতিদিনই পুশব্যাক করছে। সামর্থ্যরও কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। কিন্তু যতটুকু পারছি আমরা ফেরত দেওয়ার চেষ্টা করছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Army given magistracy power

The government last night gave magistracy power to commissioned army officers with immediate effect for 60 days in order to improve law and order.

4h ago