ডেঙ্গু: ২২ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু ও শনাক্ত

বাংলাদেশে এ বছর আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৯৫ মারা গেছেন। শনাক্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ২৭৭ জন। এই মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা ২২ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
ছবি: স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

বাংলাদেশে এ বছর আজ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৯৫ মারা গেছেন। শনাক্ত হয়েছেন ২৪ হাজার ২৭৭ জন। এই মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা ২২ বছরের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও ১৭৭ জন।

দেশে ২০০০ সালে প্রথম ডেঙ্গু রোগী গণনা শুরু হয়। সে বছর ৯৩ জন ডেঙ্গুতে মারা যান। শনাক্ত হয়েছিলেন ৫ হাজার ৫৫১ জন।

২২ বছরের মধ্যে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ শনাক্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ২০১৯ সালে। সে বছর ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন রোগী শনাক্ত হয়। মৃত্যু হয়েছিল ১৫৬ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও আইইডিসিআরের দেওয়া ২২ বছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র দেখা গেছে।

এ বছর ডেঙ্গুতে এত বেশি রোগী ও মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে কীটতত্ত্ববিদ ও বাংলাদেশ প্রাণীবিজ্ঞান সমিতির সাবেক সভাপতি ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী টেলিফোনে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মূলত ২ টি কারণে এ বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যু ও শনাক্তের সংখ্যা বেশি। প্রথমত এ বছর প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং দ্বিতীয় কারণ হলো শুরু থেকেই এডিশ মশা নির্মূলে আমাদের নগর পিতারা যথাযথ ব্যবস্থা নেননি। তারা লোক দেখানো কিছু কাজ করেছেন মাত্র। কিন্তু মানুষজনকে সচেতন করতে ব্যর্থ হয়েছেন।'

তিনি বলেন, 'সাধারণত অক্টোবরের দিকে ডেঙ্গু কমতে থাকে। কিন্তু এ বছর অক্টোবরেও এমনি কি এখনো বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তাই তুলনামূলকভাবে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমছে না।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা শুধু ৪১টি হাসপাতালের ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা পাই। প্রকৃত সংখ্যাটি আরও অনেক বেশি হবে। কারণ করোনার কারণে অনেকে হাসপাতালে যায় না এবং অন্যান্য হাসপাতালগুলোর তথ্য আমরা পাই না।'

কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, 'জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীতে তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত ও আদ্রতার পরিবর্তন হচ্ছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তেনের কারণে এডিশ মশা ও ডেঙ্গুর প্যাটার্নও পরিবর্তিত হচ্ছে। তাই জলবায়ু পরিবর্তনের কথা মাথায় রেগে আমাদেরকে এডিশ মশা নিধন প্রক্রিয়া ঢেলে সাজাতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার জন্য ২টি পদ্ধতি আছে। একটি হচ্ছে মিটিগেশন অন্যটি অ্যাডাপটেশন। মিটিগেশন পদ্ধতি একটু বড়। যারা মশক নিধনে কাজ করেন তাদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। তবে অ্যাডাপটেশন পদ্ধতি গ্রহণ করা সম্ভব। জলবায়ু পরিবর্তনকে সামনে রেগে এডিশ মশা তাদের যে চারিত্রিক পরিবর্তন ঘটাচ্ছে তা শনাক্ত করে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Five crisis-hit banks secure BB guarantee for liquidity

Five crisis-hit banks have obtained a Bangladesh Bank (BB) guarantee to avail liquidity support from the inter-bank money market, according to central bank officials.

5h ago