গুলিবিদ্ধ ট্রাম্প বললেন ‘ফাইট, ফাইট, ফাইট’, নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ

গুলিবিদ্ধ ট্রাম্প বলেন, ‘ফাইট, ফাইট, ফাইট’। ছবি: এএফপি

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও আসন্ন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর গুলি চালানোর পরপরই তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত সদস্যরা ঝাঁপিয়ে পড়ে তাকে ঢেকে ফেলেন। এরপর খানিক পরই উঠে দাঁড়িয়ে মুষ্টিবদ্ধ হাত দেখিয়ে ট্রাম্প বলেন, 'ফাইট, ফাইট, ফাইট'।

শনিবার এক নির্বাচনী প্রচারণায় ট্রাম্প গুলিবিদ্ধ হওয়ায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞসহ সবস্তরের মার্কিন নাগরিকরা। তাদের শঙ্কা, এই হামলা এ বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাবে এবং পরবর্তী প্রচারণাগুলোতে আরও রাজনৈতিক সহিংসতার সূচনা করতে পারে।

হামলায় ট্রাম্পের ডান কানে গুলি লাগে। এ ঘটনায় সমাবেশে অংশ নেওয়া একজন নিহত ও দুই জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

সিবিএস নিউজের রিপোর্টে বলা হয়েছে, কানে গুলি লাগার পর স্থানীয় একটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এর পর ট্রাম্প কোথায় যাচ্ছেন সেটি স্পষ্ট নয়। সমাবেশ শেষে আজ নিউ জার্সির বেডমিনস্টারে যাওয়ার কথা তার। সোমবার রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশন শুরু করতে রোববার উইসকনসিনের মিলওয়াকিতে যাওয়ার কথা রয়েছে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের।

পেনসিলভানিয়ার বাটলারে গুলির ঘটনার পর নিজের সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে ট্রাম্প বলেন, 'আমার ডান কানের উপরের অংশে একটি গুলি লেগেছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।'

ট্রাম্প 'ভালো আছেন' বলে জানিয়েছেন তার উপদেষ্টারা এবং আগামী সপ্তাহে মিলওয়াকিতে হতে যাওয়া রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনে যোগ দিতে অপেক্ষায় আছেন বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস জানিয়েছে, সন্দেহভাজন হামলাকারী নিহত হয়েছেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)।

এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের ওপর হামলাকারীর নাম টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। ২০ বছর বয়সী ওই যুবক যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভেনিয়ার বাসিন্দা ছিলেন।

ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ বিশ্বনেতারা।

তাদের ভাষ্য, পৃথিবীর কোথাও এমন সহিংসতার স্থান নেই।

 

Comments

The Daily Star  | English

Fakhrul calls for unity among parties to restore democracy

Says empowering people through elections is the shared responsibility of all political forces

36m ago