ট্রাম্পের ওপর হামলা: ‘গণতন্ত্রে সহিংসতার কোনো স্থান নেই’

নির্বাচনী প্রচারের সময় গুলির ঘটনার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নিরাপদে সরিয়ে সরিয়ে নেন নিরাপত্তারক্ষীরা। ছবি: রয়টার্স

নির্বাচনী সমাবেশে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর গুলির ঘটনায় শোক জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা।

বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এমন রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধে কথা বলেছেন এবং শনিবারের গুলিতে হতাহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

হামলায় ট্রাম্পের ডান কানে গুলি লাগে। এ ঘটনায় সমাবেশে অংশ নেওয়া একজন নিহত ও দুই জন গুরুতর আহত হয়েছেন।

মার্কিন সিক্রেট সার্ভিস জানিয়েছে, সন্দেহভাজন হামলাকারী নিহত হয়েছেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ফেডারেল ব্যুরে অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই)।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, 'আবারও আমরা রাজনৈতিক প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে সহিংসতা প্রত্যক্ষ করছি। এটি অগ্রহণযোগ্য।'

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেইর স্টারমার বলেছেন, সমাবেশের মর্মান্তিক সেই দৃশ্য দেখে তিনি মর্মাহত।

তিনি বলেন, 'আমাদের সমাজে কোনোভাবেই রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই।'

হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় একে 'অন্ধকার সময়' উল্লেখ করে ট্রাম্পের জন্য প্রার্থনার কথা জানান।

ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি ট্রাম্পের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন।

ডানপন্থী এই নেতা আশা প্রকাশ করে বলেন, 'নির্বাচনী প্রচারের পরবর্তী মাসগুলোতে ঘৃণা ও সহিংসতার বদলে সংলাপ ও দায়িত্বশীলতা প্রাধান্য পাবে।'

আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হাভিয়ের মিলিই ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনায়  'আন্তর্জাতিক বামপন্থী' গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করেছেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি হামলার ঘটনায় মর্মাহত জানিয়ে ট্রাম্পের 'দ্রুত সুস্থতা' কামনা করেছেন।

এক বার্তায় তিনি বলেন, 'এ ধরনের সহিংসতার কোনো যৌক্তিকতা নেই, বিশ্বের কোথাও এর কোনো স্থান নেই।'

ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা বলেন, যারা গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক সংলাপের পক্ষে, তাদের অবশ্যই এই হামলার তীব্র নিন্দা জানানো উচিত।

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ কোস্টারিকা এই হামলার নিন্দা জানিয়েছে।

দেশটির প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, 'গণতন্ত্র ও শান্তির পক্ষে আমরা। আর তাই সবধরণের সহিংসতার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান।'

চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, 'সহিংসতা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।'

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, 'আমার বন্ধুর ওপর হামলার ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। রাজনীতি ও গণতন্ত্রে সহিংসতার কোনো স্থান নেই।'

জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাও রাজনৈতিক আক্রমণের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, 'গণতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ করে এমন যেকোনো ধরনের সহিংসতার বিরুদ্ধে আমাদের দৃঢ়ভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে।'

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে গুলিবিদ্ধদের প্রতি 'আন্তরিক সমবেদনা' জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, 'গণতন্ত্রে যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতা কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।'

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ বলেছেন, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় 'ভয়াবহ দৃশ্য দেখে মর্মাহত' হয়েছেন তিনি এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট নিরাপদে আছেন জেনে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস লুক্সন বলেছেন, 'কোনো দেশের এই ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার সম্মুখীন হওয়া উচিত নয়।'

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনায় তিনি ও তার স্ত্রী সারা মর্মাহত।

নেতানিয়াহু বলেন, 'আমরা তার নিরাপত্তা ও দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Each martyr family to get Tk 30 lakh: Prof Yunus

Vows to rehabilitate them; govt to bear all expenses of uprising injured

33m ago