ফ্রান্সে আবায়া পরে স্কুলে আসায় ৬৭ শিক্ষার্থীকে ফেরত পাঠাল কর্তৃপক্ষ

শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ফ্রান্সের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি: এএফপি
শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ফ্রান্সের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছবি: এএফপি

আবায়া পরে স্কুলে আসায় ফ্রান্সের ৬৭ স্কুলশিক্ষার্থীকে বাসায় ফেরত পাঠানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা এএফপি এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে দেশটির শিক্ষামন্ত্রীর বরাত দিয়ে বলা হয়, স্কুল বর্ষের প্রথম দিনে অনেকে আবায়া পরে এলে তাদের মধ্যে বেশিরভাগই পরে পোশাক পাল্টাতে রাজি হন। তাদের মধ্যে যারা অস্বীকৃতি জানিয়েছে তাদের বাসায় পাঠানো হয়েছে।

আবায়া মুসলিম নারীরা বোরকার মতো ব্যবহার করেন। এটি ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত ঢেকে রাখে।

গত মাসে ফ্রান্স সরকার আবায়া পরে স্কুলে আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বিবৃতিতে জানানো হয়, এই পোশাক শিক্ষাক্ষেত্রে অসাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মনিরপেক্ষতার নীতি লঙ্ঘন করে। একই কারণ দেখিয়ে ইতোমধ্যে নারী শিক্ষার্থীদের হিজাব পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। 

ডানপন্থি রাজনৈতিক দলগুলো এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও কট্টর ডানপন্থিরা জানান, এতে নাগরিক স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী গ্যাব্রিয়েল আত্তাল জানান, যেসব শিক্ষার্থীকে বাসায় পাঠানো হয়েছে, তাদের অভিভাবকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, 'ধর্মনিরপেক্ষতা কোনো বাধা নয়, বরং এটি এক ধরনের স্বাধীনতা'। 

মুসলিমদের একটি সংগঠন ফ্রান্সের সর্বোচ্চ আদালত স্টেট কাউন্সিলে নারীদের আবায়া ও পুরুষদের কামিসের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার সরকারি আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এই আবেদন করা হয়।

অ্যাকশন ফর দ্য রাইটস অব মুসলিমস (এডিএম) নামের এই সংগঠনের আবেদনটি মঙ্গলবার যাচাই করে দেখবে আদালত।

২০০৪ সালে ফ্রান্সে একটি আইন পাস হয়, যেখানে বলা হয়, 'শিক্ষার্থীরা কোন ধর্ম পালন করেন, তা প্রকট হয়ে ওঠবে এমন কোনো পোশাক বা চিহ্ন তারা পরতে বা ধারণ করতে পারবে না।'

যার ফলে নিষিদ্ধের তালিকায় যুক্ত হয় হিজাবের পাশাপাশি ইহুদিদের কিপ্পা ও খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের ক্রুশ।

Comments

The Daily Star  | English

Trump started this war, we will end it, says Iranian military

Iran vowed to defend itself a day after the US dropped 30,000-pound bunker-buster bombs onto the mountain above Iran's Fordow nuclear site

1d ago