চীনের সঙ্গে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক সম্পর্ক চায় যুক্তরাষ্ট্র

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী বৈঠক করছেন। ছবি: এএফপি
চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী বৈঠক করছেন। ছবি: এএফপি

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমন্ডো বেইজিং ও সাংহাই সফর করছেন। চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনতাও'র সঙ্গে বৈঠকের আগে তিনি বলেন, 'ওয়াশিংটন ও বেইজিং এর মধ্যে স্থিতিশীল সম্পর্ক বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।'

আজ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন এই তথ্য জানিয়েছে।

রাইমন্ডোর ৪ দিনের সফর বুধবার শেষ হবে। সম্প্রতি বাইডেন প্রশাসনের আরও ৩ শীর্ষ কর্মকর্তা চীন সফর করেছেন, যারা হলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন, ট্রেজারি সচিব জ্যানেট ইয়েলেন ও জলবায়ু সংক্রান্ত প্রতিনিধি জন কেরি।

বেইজিংয়ে রাইমন্ডো বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক সমগ্র বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যে একটি। আমরা নিজেদের মধ্যে ৭০০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য সম্পর্ক বজায় রাখি'।

'আমাদের জন্য স্থিতিশীল অর্থনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখা খুবই জরুরি, যা উভয় দেশের জন্য মঙ্গলজনক। সারা বিশ্ব আমাদের কাছ থেকে এটাই প্রত্যাশা করে। তবে এটি একটি জটিল ও ঝামেলাপূর্ণ সম্পর্ক। কিছু কিছু বিষয়ে অবশ্যয়ই আমাদের মতভেদ রয়েছে, তবে আমার বিশ্বাস আমরা যদি সরাসরি, খোলাখুলি ও বাস্তবসম্মত যোগাযোগ অব্যাহত রাখি, তাহলে আমরা আরও উন্নতি করতে পারবো', যোগ করেন তিনি।

চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং জানান, বেইজিং ওয়াশিংটনের সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রস্তুত। তিনি আরও জানান, দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক শুধু এই ২ দেশের জন্য নয় বরং সারা পৃথিবীর জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।

রাইমন্ডো জানান, জাতীয় নিরাপত্তা প্রসঙ্গে কোনো ধরনের ছাড় দেবে না ওয়াশিংটন। তবে ২ দেশের বাণিজ্যের সঙ্গে জাতীয় নিরাপত্তার সংযুক্তি খুবই কম।

ওয়াং একমত প্রকাশ করে বলেন, ২ দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ককে 'নিরীহ' বলা যায়।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: রয়টার্স
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ছবি: রয়টার্স

সফরের আগে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশ করা এক বিবৃতি মতে রাইমন্ডো মার্কিন-চীন বাণিজ্য সম্পর্ক ও পারষ্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো যেসব সমস্যার মুখে পড়ছে, তা নিয়ে আলোচনা করবেন।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই বৈঠকে চীনের পণ্যের ক্ষেত্রে রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ নীতিমালা ও অন্যান্য বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের জন্য বেইজিং, ওয়াশিংটনকে অনুরোধ জানাবে।

ইতোমধ্যে ওয়াশিংটন গত সপ্তাহে চীনের ২৭ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে বলে জানায়। রাইমন্ডোর সফরের ২/১ দিন আগে এই ঘটনা ঘটে।

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে নেয় এবং স্বাগত জানায়।

 

Comments

The Daily Star  | English
explanations sought from banks for unusual USD rates

Explanations sought from 13 banks for higher dollar rate

BB issued letters on Dec 19 and the deadline for explanation ends today

2h ago