যুক্তরাষ্ট্রের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা

ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের ওয়ালোপস ফ্লাইট টেস্ট ফ্যাসিলিটি থেকে এই পরীক্ষা চালানো হয়। ছবি: ড্যানিয়েল জনসন/নাসা
ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের ওয়ালোপস ফ্লাইট টেস্ট ফ্যাসিলিটি থেকে এই পরীক্ষা চালানো হয়। ছবি: ড্যানিয়েল জনসন/নাসা

অত্যাধুনিক হাইপারসনিক অস্ত্র উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র পরীক্ষামূলকভাবে একটি রকেট উৎক্ষেপণ করেছে।

গতকাল বুধবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন'র প্রতিবেদনে জানা গেছে, ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের ওয়ালোপস ফ্লাইট টেস্ট ফ্যাসিলিটি থেকে এই পরীক্ষা চালানো হয়।

রকেটটিতে ১১ ধরনের পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে পাওয়া তথ্য হাইপারসনিক অস্ত্র উন্নয়ন গবেষণায় ব্যবহার করা হবে।

মার্কিন নৌবাহিনী জানিয়েছে, এই অস্ত্র উন্নয়ন গবেষণা দেশটির সেনা ও নৌবাহিনীর যৌথ উদ্যোগ।

সমুদ্র ও ভূমি থেকে নিক্ষেপযোগ্য হাইপারসনিক অস্ত্র তৈরির জন্য এটা যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় পরীক্ষা। প্রথম পরীক্ষাটি ২০২১ সালের অক্টোবরে চালানো হয়।

পরীক্ষায় লঞ্চপ্যাড থেকে নিক্ষেপ করা রকেটে আকাশে থাকা অবস্থায় হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের নানান বিষয় পরীক্ষা ও তথ্য সংগ্রহ করে। এতে তাপ-নিরোধক উপকরণ ও উন্নত প্রযুক্তির বৈদ্যুতিক যন্ত্রাংশের কার্যকারিতাও পরীক্ষা করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার আরও একটি রকেট উৎক্ষেপণ করে আরও ১৩টি পরীক্ষা চালানো হবে বলে মার্কিন নৌবাহিনী গণমাধ্যমকে জানিয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এই ২ পরীক্ষা থেকে সংগৃহীত তথ্য নৌবাহিনীর দ্রুত হামলা চালাতে সক্ষম প্রথাগত হাইপারসনিক ব্যবস্থা ও সেনাবাহিনীর দূরপাল্লার হাইপারসনিক অস্ত্র প্রকল্পের অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখবে।

উভয় প্রকল্পে একটি হাইপারসনিক গ্লাইড বডি ব্যবহার করা হবে। এটি এক ধরনের বুস্টার রকেট, যার ওপর ক্ষেপণাস্ত্র সংযুক্ত থাকে। এটি ম্যাক ৫ এর চেয়েও দ্রুত গতিতে লক্ষ্যবস্তুর দিকে এগিয়ে যেতে পারে।

হাইপারসনিক অস্ত্রগুলো ম্যাক ৫ (ঘণ্টায় প্রায় ৪ হাজার মাইল) গতিতে চলতে পারে। এ কারণে এগুলোকে রাডারে শনাক্তের পাশাপাশি প্রতিহত করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।

ক্যালিফোর্নিয়ার এডওয়ার্ড বিমান ঘাঁটিতে প্রথম হাইপারসনিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: মার্কিন বিমান বাহিনী/রয়টার্স
ক্যালিফোর্নিয়ার এডওয়ার্ড বিমান ঘাঁটিতে প্রথম হাইপারসনিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: মার্কিন বিমান বাহিনী/রয়টার্স

এমনকি, এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো যাত্রাপথে তাদের গতিপথ পরিবর্তন করেও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে (প্যাট্রিয়ট মিসাইল বা কামানের গোলা) এড়াতে পারে।

গত বছর চীন সাফল্যের সঙ্গে হাইপারসনিক অস্ত্র পরীক্ষা চালায়। রাশিয়া গত ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া ইউক্রেনে 'বিশেষ সামরিক অভিযানে' হাইপারসনিক অস্ত্র ব্যবহার করে। এরপর থেকেই মূলত পেন্টাগন হাইপারসনিক অস্ত্র তৈরিতে প্রাধান্য দিয়ে আসছে।

২০২১ সালে চীনের হাইপারসনিক অস্ত্র পরীক্ষার পর মার্কিন জয়েন্ট চিফস অব স্টাফের চেয়ারম্যান জেনারেল মারক মিলি একে 'প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা' হিসেবে অভিহিত করেন।

তিনি জানান, এটা চীনের সামরিক সক্ষমতার ছোট উদাহরণ। তারা মহাশূন্য, সাইবার জগৎ ও প্রথাগত ভূমি, সমুদ্র ও আকাশপথেও অনেক দূর এগিয়ে গেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Cops gathering info on polls candidates

Based on the findings, law enforcers will assess security needs in each constituency and identify candidates who may pose risks.

14h ago