হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র: আগামী দিনের যুদ্ধাস্ত্র

সম্প্রতি হাইপারসনিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্রের নাম বেশ শোনা যাচ্ছে। গত ১৯ ও ২০ মার্চ রাশিয়া ইউক্রেনে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় বলে দাবি করেন মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ।
রাশিয়ার যুদ্ধবিমান মিগ-৩১ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র কিনজাল বহন করছে। ছবি: এএফপি/ ফাইল ফটো

সম্প্রতি হাইপারসনিক অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্রের নাম বেশ শোনা যাচ্ছে। গত ১৯ ও ২০ মার্চ রাশিয়া ইউক্রেনে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় বলে দাবি করেন মস্কোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ।

তিনি জানান, কিনজাল ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে পশ্চিম ইউক্রেনের একটি ভূগর্ভস্থ গোলাবারুদের ডিপো এবং দক্ষিণে মাইকোলাইভ অঞ্চলের কোস্ত্যন্তিনিভকার কাছে একটি জ্বালানি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে রাশিয়া।

এর মাধ্যমে রাশিয়া বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো যুদ্ধে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারের দাবি জানাল। এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে এই আধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করা হলেও, যুদ্ধক্ষেত্রে এটাই এর প্রথম ব্যবহার।

স্বাভাবিকভাবেই সবার মনে এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিস্তারিত

মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শব্দের চেয়েও ৫ গুণ বেশি গতিতে চলতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রকে 'হাইপারসনিক' বলা যায়। শব্দের গতির চেয়ে কম গতিতে চলে, এমন ক্ষেপণাস্ত্রকে 'সাবসনিক' বলা হয়। শব্দের চেয়ে ১ থেকে ৫ গুণ গতিতে চলতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রকে 'সুপারসনিক' বলা হয়।

হাইপারসনিক গতির ক্ষেপণাস্ত্রের ধারণা নতুন কিছু নয়। আগে কিছু ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এ গতিতে চলেছে। তবে সেগুলোর গতিপথ সুনির্দিষ্ট এবং একবার নিক্ষেপ করার পর আর কোনোভাবে বদলানো যায় না। হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র এ দিক দিয়ে অনন্য। প্রতিপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য এটি গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে।

এখন পর্যন্ত ৩ ধরনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

১. হাইপারসনিক অ্যারোব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র

এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আকাশ থেকে নিক্ষেপ করা হয় এবং এটি কিছু পরিমাণে গতিপথ বদলাতে পারে। ইউক্রেনে ব্যবহৃত রাশিয়ার কেএইচ-৪৭এম২ কিনজাল ক্ষেপণাস্ত্র একটি অ্যারোব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।

 ২. হাইপারসনিক গ্লাইড ভেহিকল (এইচজিভি)

এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) মতো মাটি থেকে অনেক উচ্চতায় নিক্ষেপ করা হয়। প্রয়োজনীয় উচ্চতায় পৌঁছে এটি নিচু হয়ে লক্ষ্যবস্তুর দিকে যাত্রা করে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো প্রয়োজনে ভেসে থাকতে (গ্লাইড করতে) পারে এবং লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগে গতি বাড়াতে-কমাতে পারে।

৩. হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইল (এইচসিএম)

এইচসিএম অত্যাধুনিক ক্রুজ মিসাইল, যেটি বিশেষ ইঞ্জিনের মাধ্যমে দ্রুত গতিতে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে। অন্য ২ ধরনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের মত এটিও যাত্রাপথ পরিবর্তন করতে পারে।

কোন কোন দেশের কাছে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র আছে?

রাশিয়া

ইতোমধ্যে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে কিনজাল ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে রাশিয়া। রুশ ভাষায় কিনজাল শব্দের অর্থ ছোট ছুরি (ড্যাগার)। উল্লেখ্য, কিনজাল ক্ষেপণাস্ত্র পারমাণবিক ওয়ারহেড বহন করতে সক্ষম এবং শব্দের চেয়ে ১০ গুণ দ্রুত গতিতে বা প্রতি সেকেন্ডে ২ মাইল গতিতে ছুটে যেতে পারে।

মার্কিন কংগ্রেসের এক সাম্প্রতিক গবেষণা প্রতিবেদন (সিআরএস) থেকে জানা গেছে, রাশিয়া আভানগার্ড নামে একটি এইচজিভি ক্ষেপণাস্ত্রেরও পরীক্ষা চালিয়েছে।

চীন

চীনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত

সারা বিশ্বের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে বিস্মিত করে ২০২১ সালে চীন এইচজিভি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে। তখনকার মার্কিন জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ জেনারেল মার্ক মিলি এ ঘটনাকে 'স্পুতনিক মুহূর্ত' বলে অভিহিত করেন।

যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত

সিআরএস প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন ও রাশিয়ার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগের উত্তর দিতে যুক্তরাষ্ট্র 'অল্প সময়ের মধ্যে হাইপারসনিক প্রযুক্তির উন্নয়নে আগ্রহী হচ্ছে।'

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এক সময় যুক্তরাষ্ট্র হাইপারসনিক প্রযুক্তিতে সবার চেয়ে এগিয়ে ছিল। ১৯৬৭ সালে প্রথম মানবচালিত হাইপারসনিক ফ্লাইটটি পরিচালনা করেছিলেন মার্কিন বৈমানিক উইলিয়াম নাইট। এক্স-১৫ উড়োজাহাজের পরীক্ষামূলক ফ্লাইটে একটি হাইপারসনিক রকেট ব্যবহার করা হয়েছিল ইঞ্জিন হিসেবে।

তবে সোভিয়েত ইউনিয়নের ধসের পর মার্কিন নীতিনির্ধারকরা হাইপারসনিক প্রযুক্তির পেছনে বিনিয়োগকে অর্থহীন মনে করেন এবং এ সংক্রান্ত কয়েকটি পরীক্ষা ব্যর্থ হলে তারা বাকি প্রকল্পগুলো বাতিল করে দেন।

এ মুহূর্তে সামরিক বাহিনীর ঠিকাদাররা স্থল, নৌ ও বিমানবাহিনীর জন্য এইচজিভি ও হাইপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স বিজনেস নিউজের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত নভেম্বরে পেন্টাগন হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরির জন্য রেথিওন, লকহিড মার্টিন ও নর্থরপ গ্রুম্ম্যান নামের ৩টি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করেছে।

 উত্তর কোরিয়া

উত্তর কোরিয়ার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত

এ বছরের জানুয়ারিতে উত্তর কোরিয়া দাবি করে, দেশটি সাফল্যের সঙ্গে ২টি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। এই পরীক্ষাগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জাপান 'অস্থিতিশীলতা' তৈরির উদ্যোগ হিসেবে অভিহিত করে।

সিআরএসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও অন্যান্য কিছু দেশও হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করছে।

কেন দেশগুলো হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের দিকে ঝুঁকছে

বিবিসির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্লেষকরা বলছেন, পৃথিবীর ক্ষমতাধর দেশগুলোর মধ্যে সামরিক শক্তিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের প্রতিযোগিতার অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পর্ব চলছে।

এতদিন ধরে বিভিন্ন দেশের হাতে যেসব দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছিল, সেগুলো কম-বেশি উপযোগিতা হারিয়েছে। সবাই এখন এই শূন্যস্থান পূরণে নতুন প্রজন্মের ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি খুঁজছে।

এর মূল কারণ, পরাশক্তিগুলোর হাতে থাকা সব প্রচলিত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা প্রতিহত করার বা সেগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষার কৌশল ইতোমধ্যে প্রতিপক্ষ দেশগুলো বের করেছে এবং বাস্তবায়নও করে রেখেছে।

এই পরিস্থিতিতে শব্দের চেয়ে দ্রুতগতিতে উড়তে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রই পারবে অতি জরুরি সামরিক প্রাধান্য প্রতিষ্ঠা করতে। বিষয়টিকে মাথায় রেখেই বিভিন্ন দেশের অস্ত্র বিজ্ঞানীরা হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের গবেষণায় সময় ও সম্পদ খরচ করছেন। ফলে এমন সব ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি হচ্ছে, যেগুলো খুবই দ্রুতগতিতে আঘাত হানতে পারবে যা যেগুলো বর্তমান প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি দিয়ে মাঝপথে ধ্বংস করা প্রায় অসম্ভব।

আগের দিনের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো মূলত উড্ডয়নস্থল থেকে লক্ষ্যবস্তুর দিকে উড়ে যেতে পারত। একবার ছুড়ে দেওয়ার পর আর সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার তেমন কোনো উপায় ছিল না। শত্রুপক্ষের রাডারে ধরা পড়ার পর পথিমধ্যে অন্য কোনো প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র, যেমন উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় ব্যবহৃত প্যাট্রিয়ট মিসাইল ব্যবহার করে খুব সহজেই তাদের ধ্বংস করে দেওয়া যেত।

কিন্তু হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র খুব দ্রুত গতিতে ছুটে যায়। তাই এগুলোর রাডারকে ফাঁকি দেওয়ার ক্ষমতাও বেশি। এ ছাড়া, 'ল্যাটেরাল মুভমেন্ট' বা গতিপথ পরিবর্তন করেও ক্ষেপণাস্ত্রগুলো শত্রুপক্ষের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে এড়িয়ে যেতে পারে।

হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র শিল্পখাত

লস এঞ্জেলেসভিত্তিক সংবাদ সংস্থা গ্লোবনিউজওয়্যার প্রকাশিত 'হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের বৈশ্বিক বাজার প্রতিবেদন ২০২২' নামের একটি গবেষণাভিত্তিক সমীক্ষায় পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এই খাতের মূল প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে  লকহিড মার্টিন, রেথিওন টেকনোলজিস, নর্থরপ গ্রুম্ম্যান, বোয়িং, এসএএবি এবি, সিস্টিমা টেকনোলজিস, মিতশুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ট্যাকটিকাল মিসাইলস করপোরেশন, চায়না অ্যারোস্পেস সায়েন্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশন, থেলেস গ্রুপ এবং ডেনেল ডায়নামিকস।

সমীক্ষা অনুযায়ী ২০২২ সালে এ খাতের মোট মূল্যমান দাঁড়াতে পারে ১০ কোটি ৪৪ লাখ ডলার (প্রায় ৯০০ কোটি টাকা)। এই খাতের বর্তমান যৌগিক বার্ষিক বৃদ্ধির হার ধরা হয়েছে ৫ শতাংশ। এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, ২০২৬ সাল নাগাদ এ শিল্পের আকার বেড়ে ১৩ কোটি ডলার ও প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হবে।

সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা

বিভিন্ন দেশের সরকার তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আধুনিকায়নের জন্য এই খাতে অর্থায়ন বাড়াচ্ছে। ফলে সার্বিকভাবে এই শিল্পে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।

পেন্টাগনের পক্ষ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছরে হাইপারসনিক গবেষণার জন্য ৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারের বাজেট চাওয়া হয়।

২০১৮ সালে এই ক্ষেপণাস্ত্র উন্মোচনের সময় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানান, রাশিয়া বেশ কিছু অত্যাধুনিক কৌশলগত অস্ত্র তৈরি করেছে, যেগুলো খুব সহজেই মার্কিন প্রতিরক্ষাকে ধ্বংস করতে পারবে।

২০১৯ সালে এক সামরিক মহড়ায় চীন ডিএফ-১৭ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রদর্শন করে, যেটি ছিল বিশ্বে সর্বপ্রথম জনসম্মুখে প্রদর্শিত হাইপারসনিক অস্ত্র।

সম্পদ ও প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও উত্তর কোরিয়া হাইপারসনিক খাতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে এবং এ বছরের জানুয়ারিতে তারা হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার দাবি জানায়।

হাইপারসনিক প্রযুক্তি নতুন কিছু না হলেও ইউক্রেনে রাশিয়া এ প্রযুক্তির ব্যবহার করায় এ বিষয়ে নতুন করে সবার মধ্যে আগ্রহ দেখা দিয়েছে। অনেক বিশ্লেষক মনে করছেন, রাশিয়া তাদের পেশীশক্তি প্রদর্শন এবং প্রতিপক্ষকে ভয় দেখাতে এ অস্ত্র ব্যবহার করেছে। আবার কেউ কেউ মনে করছেন, স্থল ও উড়োজাহাজ বাহিনীর ব্যর্থতা ঢাকতে এই আক্রমণ।

তবে আরেক পরাশক্তি ইসরায়েলের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, প্যালেস্টাইনের সঙ্গে অসম যুদ্ধেও তারা বিভিন্ন সময় অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে এসব আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে অস্ত্র বিক্রেতা হিসেবে ইসরায়েলের চাহিদা বেড়েছে এবং এই খাতে তারা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এক সময় যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র সহযোগিতার ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল থাকলেও, ২০১৭ থেকে ২০২১ সালের হিসেব অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের মোট অস্ত্র রপ্তানির ২ দশমিক ৪ শতাংশ নিয়ে ইসরায়েলের অবস্থান ১০ নম্বরে। এই তালিকার প্রথম ২ স্থানে আছে যুক্তরাষ্ট্র (৩৯ শতাংশ) ও রাশিয়া (১৯ শতাংশ)।

ইউক্রেন আক্রমণ থেকে রাশিয়ার কী প্রাপ্তি, বা দেশটিকে আক্রমণের উদ্দেশ্য কী তা পরিষ্কার না হলেও, মস্কো যে ইতোমধ্যে তাদের অত্যাধুনিক কিনজাল ক্ষেপণাস্ত্রের বিধ্বংসী সক্ষমতার বড়সড় বিজ্ঞাপন দিয়ে ফেলেছে, তাতে সন্দেহ নেই। নিশ্চিতভাবেই বিভিন্ন দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে এ প্রযুক্তি কেনার বিষয়ে আগ্রহী হয়েছে, যার বাস্তবায়ন দেখা যেতে পারে আগামী দিনগুলোতে।

Comments

The Daily Star  | English

Of Hilsa and its hunters

On the corner of a crowded and noisy floor, a bespectacled man was calling out bids for a basket of Hilsa fish. He repeated the prices quoted by traders in a loud, rhythmic tone: “1,400-1,420-1,450…”

15h ago