ক্রামাতরস্কের রেস্তোরাঁয় রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত বেড়ে ৮

রেস্তোরাঁর ধ্বংসস্তুপ থেকে এক আহত ব্যক্তিকে বহন করে নিয়ে যাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। ছবি: রয়টার্স
ক্রামাতরস্কের রেস্তোরাঁয় রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত বেড়ে ৮

পূর্ব ইউক্রেনের শহর ক্রামাতরস্কে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮ হয়েছে।

আজ বুধবার বার্তাসংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে। 

রিয়া পিজ্জা রেস্তোরাঁয় বিস্ফোরণের এই নিহতদের মধ্যে ৩ শিশুও আছে।  এছাড়াও, অন্তত ৫৬ জন আহত হয়েছেন।

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে এখনো কিয়েভের নিয়ন্ত্রণে আছে এরকম সবচেয়ে বড় শহর ক্রামাতরস্কের এই রেস্তোরাঁটি সেনা ও সাংবাদিকদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়।

রয়টার্স জানিয়েছে, দ্বিতীয় আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র ক্রামাতরস্কের বাইরের অংশের একটি গ্রামে আঘাত হানলে ৫ জন আহত হন।

জরুরি সেবা কর্মকর্তারা টেলিগ্রাম বার্তায় বলেন, 'উদ্ধারকর্মীরা এখনো ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আটকে থাকা মানুষদের চিহ্নিত করে উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন।

এছাড়াও, ইউক্রেনের মধ্যাঞ্চল থেকে ৩৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ক্রেমেনচুকের কয়েকটি সংযুক্ত ভবনে ১টি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। তবে এ হামলায় কেউ হতাহত হননি।

ভ্যালেন্তিনা (৬৪) রয়টার্সকে বলেন, 'বিস্ফোরণের পর আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই, কারণ সেখানে আমার একটি কফির দোকান আছে। গিয়ে দেখি, সবকিছু বিস্ফোরণে উড়ে গেছে।'

'(আমার ভাড়া নেওয়া কফির দোকানের) কোনো কাঁচ, জানালা বা দরজা অবশিষ্ট নেই। আমি শুধু ধ্বংস, আতঙ্ক ও ভয়াবহতা দেখছি। বিশ্বাসই হচ্ছে না এটা একবিংশ শতাব্দী।'

দনেৎস্ক প্রদেশের গভর্নর পাভলো কিরিলেঙ্কো জাতীয় টেলিভিশনে বলেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে মানুষদের দেখা যাচ্ছে। তবে তারা কী অবস্থায় আছেন, তা অজানা।

'কিন্তু আমরা ধ্বংসস্তুপ পরিষ্কার করার কাজে অভিজ্ঞ', যোগ করেন তিনি।

দনেৎস্ক প্রদেশের দখল নেওয়ার ক্ষেত্রে রাশিয়ার জন্য ক্রামাতরস্ক একটি মূল লক্ষ্যবস্তু।

বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে এ শহরে নিয়মিত হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ২০২২ এর এপ্রিলে শহরটির রেল স্টেশনে হামলায় ৬৩ জন নিহত হন। এছাড়াও এ বছরের শুরুতে অন্তত ২ বার আবাসিক ভবন ও অন্যান্য বেসামরিক স্থাপনার ওপর হামলা হয়েছে।

রাশিয়া তাদের বিশেষ সামরিক অভিযানে বেসামরিক মানুষ ও স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলার দায় অস্বীকার করে।

Comments

The Daily Star  | English

'Shoot directly': Hasina’s order and deadly aftermath

Months-long investigation by The Daily Star indicates state forces increased deployment of lethal weapons after the ousted PM authorised their use

1d ago