‘ভাগনার বিদ্রোহেও’ অটল রুশ বাহিনী, ইউক্রেনের ৩০ কামান অকার্যকর
রুশ বাহিনী ক্রাসনি লিমান অঞ্চলের কাছাকাছি ইউক্রেনীয় বাহিনির ৩০টি কামান ও ২০টি মর্টার ক্রুকে চিহ্নিত ও অকার্যকর করেছে। এসব অবস্থান থেকে কিয়েভ, মস্কোর বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালিয়ে রুশ অধিকৃত অঞ্চলটির দখল ফিরে পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিল।
আজ সোমবার রুশ রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
সম্প্রতি ভাড়াটে সেনার দল ভাগনার তাদের নেতা ইয়েভগেনি প্রিগোঝিনের নেতৃত্বে রুশ সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে। তবে অল্প সময়ের মধ্যে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় সে বিদ্রোহের অবসান ঘটে। অপরদিকে, পশ্চিমা দেশগুলো পুতিনের দুর্বল অবস্থান ও পতনের সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা কল্পনায় মেতে উঠলেও যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ সেনাবাহিনী সাফল্যের সঙ্গে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণ প্রতিহত করে চলছে।
রুশ সেনাবাহিনীর 'সেন্টার' নামে পরিচিত যোদ্ধাদলের গোলন্দাজ বাহিনী এই অবস্থানগুলো চিহ্নিত করার পর কিয়েভের ৩০টি কামান ও ২০টি মর্টার ক্রুকে অকার্যকর করেছে বলে জানিয়েছেন সেন্টারের মুখপাত্র আলেকজান্ডার সাভচুক।
তিনি বলেন, 'ক্রাসনি লিমানের কাছে যোদ্ধাদল সেন্টারের আর্টিলারি ইউনিট নজরদারি ও গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করে ইউক্রেনের ৩০টি কামানের গোলা ছোঁড়ার অবস্থান ও ২০টিরও বেশি মর্টার ক্রুকে চিহ্নিত ও অকার্যকর করেছে।'
'এই হামলায় ইউক্রেনের কিছু সাঁজোয়া যান ও ২টি পিকআপ ট্রাক ধ্বংস হয়েছে এবং তাদের সেনাবাহিনীর উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে', যোগ করেন তিনি।
এছাড়াও, রুশ যুদ্ধবিমান ৪০ বার এ অবস্থানগুলোর ওপর দিয়ে উড়ে যায় (বিমানযুদ্ধের ভাষায় 'সর্টি') এবং ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলা চালায়। অস্থায়ী অবকাঠামো, শত্রুপক্ষের রসদ ও সরঞ্জাম, সেনা ও গোলাবারুদ লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর খারকিভে অবস্থিত 'লিমান' শহরকে দখল করে নেয় রাশিয়া এবং এর নাম বদলে 'ক্রাসনি লিমান' রাখে। সোভিয়েত আমলেও শহরটি এ নামেই পরিচিত ছিল।
ইউক্রেনীয় বাহিনী তাদের বহুল প্রতীক্ষিত পাল্টা হামলার অংশ হিসেবে এ অঞ্চলের দখল ফিরে পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
সাভচুক আরও জানান, সেরেব্রিয়ান্সকি জেলার বনের মধ্য দিয়ে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে আগাতে দেখা গেছে। সাভচুকের মতে, এই উদ্যোগে ইউক্রেনের ৪২, ৬৩ ও ৬৭তম মেকানাইজড ব্রিগেডের আইএফভি (সাঁজোয়া যান) যোগ দিয়েছে।
Comments