এবার রাশিয়ার পার্লামেন্ট সদস্যসহ সামরিক খাতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

রুশ পার্লামেন্টের ২৭৮ জন সদস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ছবি: রয়টার্স

ইউক্রেনের কিছু অংশ নিজেদের ভূখণ্ড ঘোষণার পর রাশিয়ার ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার সামরিকখাত, পার্লামেন্ট সদস্যসহ কোম্পানিকে লক্ষ্য করে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় সংযোজন ঘোষণার পর ওয়াশিংটন এই ব্যবস্থা নেয়। পুতিন রুশ বাহিনীর দখলে থাকা ইউক্রেনের ১৫ শতাংশ এলাকা নিজেদের মধ্যে সংযুক্তির ঘোষণা দেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেন বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এক করব, যেন তারা এই রাশিয়ার কর্মকাণ্ডকে নিন্দা জানায় এবং রাশিয়াকে জবাবদিহির আওতায় আনতে পারে। আমরা ইউক্রেনকে রক্ষা করতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ চালিয়ে যাব।

এর আগে, চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা রাশিয়ার ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এতে রাশিয়ার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং স্থানীয় অর্থনীতিতে প্রভাব পড়েছে বলে রয়টার্স জানিয়েছে।

পুতিন পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, ইউরোপ নজরদারি বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে পাইপলাইনগুলি উড়িয়ে দিচ্ছে।

রয়টার্স বলছে, শুক্রবার এক ভাষণে পুতিন পশ্চিমাদের নব্য-ঔপনিবেশিক বলে সমালোচনা করেন। অন্যদিকে ইউক্রেন বলেছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দেওয়ার আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করবে।

মার্কিন ট্রেজারি ও বাণিজ্য বিভাগের দিকনির্দেশনায় সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে, মস্কোকে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বা বস্তুগত সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলোসহ রাশিয়ার বাইরে যে কেউ এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারে। ট্রেজারি নিষেধাজ্ঞাগুলি সাধারণত নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকাদের যে কোনো মার্কিন সম্পদ জব্দ করে।

ট্রেজারি বলেছে, তারা রাশিয়ার সামরিকখাতের ১৪ জন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ২ নেতা, শীর্ষ কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্য এবং পার্লামেন্টের ২৭৮ জন সদস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Crowd control: Police seek to stop use of lethal weapon

The police may stop using lethal weapons and lead pellets for crowd control as their widespread use during the July mass uprising led to massive casualties and global criticism.

10h ago