ইরান-যুক্তরাষ্ট্র বন্দি বিনিময় সম্পন্ন, জব্দ ৬ বিলিয়ন ডলার ফিরে পেল তেহরান

দোহায় এসে পৌঁছান ৩ মুক্তি পাওয়া বন্দি। ছবি: রয়টার্স
দোহায় এসে পৌঁছান ৩ মুক্তি পাওয়া বন্দি। ছবি: রয়টার্স

ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় প্রথম দফায় দুই দেশের পাঁচ জনে করে বন্দি মুক্তি পেয়েছেন। এছাড়াও, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী জব্দ করা ৬ বিলিয়ন ডলার সম্পদ ফিরে পেয়েছে তেহরান।

আজ মঙ্গলবার এ বিষয়টি জানিয়েছে এএফপি।  

সোমবার পাঁচ মার্কিন নাগরিককে মুক্তি দেয় ইরান, যার মধ্যে একজন আট বছর আটক ছিলেন। তারা সবাই কাতারের একটি জেট বিমানে করে তেহরান থেকে দোহার উদ্দেশে রওনা হন। জব্দ অর্থও কাতারের ব্যবস্থাপনায় থাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয়।

কাতার থেকে পরবর্তীতে একটি মার্কিন সরকারী বিমানে করে তারা ওয়াশিংটনে পৌঁছান। কয়েকজনকে সেখানে চিকিৎসা দেওয়া হবে।

হোয়াইট হাউজ জানায়, মুক্তি পাওয়া বন্দিদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কথা বলেছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, 'মার্কিন নাগরিকদের মুক্ত করাই ছিল বাইডেন প্রশাসনের সবচেয়ে প্রাধান্যের বিষয়'।

নিউইয়র্কে ব্লিঙ্কেন সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাদের নাগরিকরা মুক্তি পেয়েছেন, যা খুবই আনন্দের বিষয়'।

ইরানের সরকারী গণমাধ্যম জানায়, মুক্তি পাওয়া দুই ইরানী বন্দি দোহা হয়ে তেহরানে ফিরে গেছেন। বাকি তিন জন সেখানেই থেকে গেছেন অথবা তৃতীয় কোনো দেশে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

কাতারের মধ্যস্থতায় সংঘটিত আলোচনার মাধ্যমে দুই দেশ বন্দি বিনিময় ও ইরানের জব্দ করা সম্পদ ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে একমত হয়। মার্কিন মিত্র দক্ষিণ কোরিয়ার ব্যাংকে ৬ বিলিয়ন ডলার জব্দ করা হয়েছিল, যা বন্দী বিনিময়ের পর কাতারের একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রে এ ঘটনাকে 'মুক্তিপণ' দেওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হলে বাইডেন প্রশাসন এই সমালোচনাকে পাত্তা দেয়নি।

তাদের মতে, এই অর্থ শুধু 'মানবিক' কাজে ব্যবহার হবে। যদি এই নির্দেশনা অমান্য করা হয়, তাহলে আবারও তা জব্দ করা হবে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন।

তবে ইরান দাবি করেছে, তাদের হাতে এখন এই অর্থের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

নিউইয়র্কে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেন, 'ইরানের জনগণের যে অর্থটুকু এতদিন নির্দয় ভাবে আটকে রাখা হয়েছিল, তা বর্তমানে সরকারের হাতে আছে এবং আমরা জনমানুষের প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করব।'

বাইডেনের রাজনীতিক প্রতিদ্বন্দ্বীরা এই উদ্যোগের নিন্দা জানিয়েছেন। রিপাব্লিকান সিনেটর মিট রমনি বলেন, এ ধরনের উদ্যোগে 'অপহরণের' প্রবণতা বাড়তে পারে।

তিনি জানান, '(বন্দিদের) মুক্তির জন্য এভাবে অর্থ দেওয়া একেবারেই উচিৎ নয়।'

Comments

The Daily Star  | English

Grim discovery: Five bodies found on vessel in Meghna

The incident had occurred on the Meghna river under Chandpur Sadar upazila in an area adjacent to Shariatpur

1h ago