ইরানে শিয়া দরগায় বন্দুক হামলায় নিহত ১৫, আইএসের দায় স্বীকার

ইরানের দক্ষিণাঞ্চলের শহর শিরাজে শিয়া সম্প্রদায়ের একটি দরগায় বন্দুক হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছেন। ছবি: এএফপি
ইরানের দক্ষিণাঞ্চলের শহর শিরাজে শিয়া সম্প্রদায়ের একটি দরগায় বন্দুক হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছেন। ছবি: এএফপি

ইরানের দক্ষিণাঞ্চলের শহর শিরাজে শিয়া সম্প্রদায়ের একটি দরগায় বন্দুক হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত ও ৪০ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অন্তত ২ জন শিশু আছে বলে জানা গেছে।

ইরানের রাষ্ট্রিয় গণমাধ্যম আইআরএনএর বরাতে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

প্রতিবেদন অনুসারে, বুধবার সন্ধ্যায় ৩ জন সশস্ত্র ব্যক্তি শাহ চেরাগ দরগায় ঢুকে এই হামলা চালায়।

হামলার ঘটনায় ২ জনকে আটক করা হলেও আরেক জন পালিয়ে গেছেন বলে বলা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে।

জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএল বা আইএসআইএস (ইসলামিক স্টেট) তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে দেওয়া এক বিবৃতির মাধ্যমে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও হামলা থেকে বেঁচে ফেরা একজন আল জাজিরাকে বলেন, 'আমরা নামাজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। তখন হঠাত গুলির শব্দ পাই। আমরা অপর দিক দিয়ে পালানোর চেষ্টা করি। তখন টের পাই, আমার শরীর থেকে রক্ত ঝরছে।'

'আমি দেখিনি কে বা কারা গুলি করছে...সড়ক থেকে হামলা শুরু হয়ে মাজারের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে এবং তারা যাকেই দেখেছে, তাকেই গুলি করেছে। আমি কিছু মানুষকে আহত হতে ও মারা যেতে দেখেছি, কিন্তু হামলাকারীদের দেখিনি', বলেন তিনি।

শিরাজ শহরে সর্বশেষ ২০০৮ সালের এপ্রিলে বোমা হামলায় একটি মসজিদে ১৪ জন নিহত হয়েছিলেন।

বুধবারের হামলা এমন সময় ঘটলো, যখন পুলিশী হেফাজতে ২২ বছর বয়সী মাহসা আমিনীর মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে প্রায় ৫ সপ্তাহ ধরে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে।

উল্লেখ্য, 'নিয়ম মেনে পোশাক' না পরার অভিযোগে মাহসাকে গ্রেপ্তার করে দেশটির নৈতিকতা পুলিশ। বুধবার এই বিক্ষোভের ৪০তম দিন পূর্ণ হয়।

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি জানিয়েছেন, শিরাজের হামলার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।

রাইসি আরও বলেন, 'আমাদের অভিজ্ঞতা বলছে, ইরানের শত্রুরা দেশের মানুষের সংহতিতে চিড় ধরাতে ব্যর্থ হলে সহিংসতা ও আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে প্রতিশোধ নেয়। এই অশুভ শক্তিকে অবশ্যই সমুচিত জবাব দেওয়া হবে এবং যারা এই হামলার নীলনকশা প্রণয়ন করেছেন, তাদের নিরাপত্তা ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা উচিত শিক্ষা দেবে।'

ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম জানিয়েছে, বুধবারের হামলায় এক হামলাকারী মাজারের প্রবেশপথে এক কর্মীকে গুলি করার পর তার রাইফেলটি জ্যাম হয়ে যায়। তখন সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন তাকে ধাওয়া করে। তবে খুব দ্রুতই হামলাকারী তার রাইফেলটি মেরামত করে ধাওয়াকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এরপর সে মাজারের প্রার্থনাকারীদের ওপর গুলি চালায়।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago