বিস্ফোরণে ক্রিমিয়া-রাশিয়া সেতুর একাংশে ধস, নিহত ৩
শক্তিশালী ট্রাক বিস্ফোরণের ঘটনায় ক্রিমিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনকারী সেতুর একাংশ ধসে পড়েছে এবং গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ৩ জন নিহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের সময় নিহতরা পাশের একটি গাড়িতে ছিলেন।
রাশিয়ার তদন্তকারীদের বরাত দিয়ে বিবিসি আজ শনিবার এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসি আরও জানায়, ক্রিমিয়ার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা এখন রাশিয়ার মূল ভূখণ্ড এবং উপদ্বীপের মধ্যে একটি ফেরি সার্ভিসের ব্যবস্থা করবে। এদিকে রাশিয়া সেতুর রেল চলাচলের অংশটি দ্রুতই আবার খুলে দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। আজ স্থানীয় সময় সন্ধ্যাতেই অক্ষত থাকা একটি লেনে সড়ক যান চলাচল শুরু হবে বলেও জানিয়েছে দেশটি।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আজ স্থানীয় সময় ভোরের এই বিস্ফোরণের ঘটনায় রাশিয়া তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে দায়ী করেনি। ইউক্রেনও সরাসরি এর দায় স্বীকার করেনি। তবে ইউক্রেনের কর্মকর্তা ঘটনার পর বেশকিছু পোস্ট দিয়েছেন, যেখানে তাদের আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোদোলিয়াক লিখেছেন, 'ক্রিমিয়া, সেতু ও শুরু। অবৈধ সবকিছু ধ্বংস করতে হবে, চুরি হওয়া সবকিছু ইউক্রেনে ফেরত দিতে হবে, রাশিয়ার দখলকৃত সবকিছু অবশ্যই হটাতে হবে।'
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সেতুতে বিস্ফোরণকে এপ্রিলে রাশিয়ার মস্কভা ক্ষেপণাস্ত্র ক্রুজার ডুবে যাওয়ার সঙ্গে তুলনা করেছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের টুইটে বলা হয়, 'ইউক্রেনের ক্রিমিয়াতে রাশিয়ান শক্তির ২টি কুখ্যাত প্রতীক হারিয়ে গেছে। লাইনে এরপর কোনটা?'
ইউক্রেন সরকারও এ ঘটনা নিয়ে ব্যঙ্গ করে টুইট করেছে।
ইউক্রেনের এমন প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, 'বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংসের বিষয়ে কিয়েভ সরকারের প্রতিক্রিয়া তাদের সন্ত্রাসী মনোভাবের প্রমাণ।'
২০১৪ সালে মস্কোর সঙ্গে ক্রিমিয়া সংযুক্ত হওয়ার ৪ বছর পর ২০১৮ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেতুটি উদ্বোধন করেন। আজ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ৭০ তম জন্মদিনের একদিন পর সেখানে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া সেতুটি ব্যবহার করে সামরিক সরঞ্জাম, গোলাবারুদ ও কর্মীদের রাশিয়া থেকে দক্ষিণ ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য। সেতুটির প্রতি ইউক্রেনীয়দের ঘৃণার অনুভূতি আছে। ফলে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের উল্লাস প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
Comments