অস্ট্রেলিয়ায় বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে বাস দুর্ঘটনায় নিহত ১০

সিডনির উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দূরে হান্টার ভ্যালির গ্রেতা শহরের কাছাকাছি জায়গায় গতকাল রোববার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ অঞ্চলটি আঙুর বাগান ও বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বিখ্যাত।
ঘটনাস্থলে পুলিশের কর্মকর্তা। ছবি: রয়টার্স
ঘটনাস্থলে পুলিশের কর্মকর্তা। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস প্রদেশে বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ১০ জন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছেন। ভাড়া করা বাসটির যাত্রীরা বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

আজ সোমবার স্থানীয় পুলিশের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

সিডনির উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দূরে হান্টার ভ্যালির গ্রেতা শহরের কাছাকাছি জায়গায় গতকাল রোববার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ অঞ্চলটি আঙুর বাগান ও বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য বিখ্যাত।

প্রাদেশিক পুলিশের ভারপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার ট্রেসি চ্যাপম্যান গণমাধ্যমকে বলেন, 'যতদূর জেনেছি, তারা সবাই বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। ফেরার পথে দুর্ঘটনা ঘটে।'

চ্যাপম্যান জানান, আপাতত ধারণা করা হচ্ছে, বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া অতিথিদের বাসটিই নিয়ন্ত্রণ হারালে দুর্ঘটনা ঘটে। এর সঙ্গে অন্য পরিবহন জড়িত নয়।

পুলিশ এখনো বাসের সব যাত্রীর পরিচয় জানার চেষ্টা চালাচ্ছে।

এ দুর্ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ হতাহতদের পরিবারের প্রতি 'গভীর সমবেদনা' জানিয়েছেন।

অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যমে প্রচারিত ভিডিওতে বাসটিকে এক পাশে কাত হয়ে থাকা অবস্থায় দেখা গেছে। পুলিশের ধারণা, এখনো কিছু মানুষ বাসের ভেতর আটকে থাকতে পারেন।

৫৮ বছর বয়সী বাস চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে বলে জানান চ্যাপম্যান। বাধ্যতামূলক মদ ও মাদক পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনা যেখানে ঘটেছে সেখানে ঘন কুয়াশা ছিল। তবে এখনো দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি।

এটি অস্ট্রেলিয়ার ইতিহাসে ৩০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে ১৯৮৯ সালে ২ মাসের ব্যবধানে ২ বাস দুর্ঘটনায় ৩৫ ও ২১ জন নিহত হন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago