খান ইউনিস থেকে ইসরায়েলি সেনা সরানোর দাবি

‘এটা কৌশল, যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত নয়’

খান ইউনুস
দক্ষিণ গাজার খান ইউনুস থেকে এক ব্রিগেড সেনা সরিয়ে নেওয়ার দাবি করেছে তেল আবিব। ছবি: এএফপি ফাইল ফটো

ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ সপ্তম মাসে পড়ার প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার দাবি করেছে তেল আবিব।

আজ সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে—দক্ষিণ গাজা থেকে এক ব্রিগেড সেনা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। তবে অনেক সেনা গাজায় থেকে যাবে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ'র মুখপাত্র লেফটেনেন্ট কর্নেল পিটার লারনার বিবিসিকে বলেন, 'আমরা যুদ্ধের অন্য পর্বে পৌঁছেছি।

সংবাদ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইসরায়েলের সেনা সরানোর বিষয়টিকে কৌশলগত হিসেবে ব্যাখ্যা দেওয়া যেতে পারে। এটি যুদ্ধ বন্ধের ইঙ্গিত নয়।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, তাদের সংবাদদাতা সীমান্ত এলাকা থেকে দূরে গাজার ভেতর থেকে বিপুল সংখ্যাক ইসরায়েলি সেনা সরে যাওয়ার কোনো লক্ষণ দেখেননি। তবে রাতে খান ইউনিস থেকে অনেক ট্যাংক সরে যেতে দেখা গেছে।

সেসব ট্যাংক গাজা-ইসরায়েল সীমান্তে এনে রাখা হয়েছে।

গতকাল আইডিএফ'র লেফটেনেন্ট জেনারেল হার্জি হাভেলি সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, সেনা সরিয়ে নেওয়া মানে অভিযান বন্ধ এমনটি বলা যাবে না।

তিনি বলেন, 'গাজা উপত্যকায় হামাসের কোনো যোদ্ধাকে আমরা সক্রিয় থাকতে দেব না। আমরা পরিকল্পনা মোতাবেক এগোচ্ছি।'

গাজায় ইসরায়েলের সামরিক লক্ষ্য পুরোপুরি সফল হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।

অপর মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে হোয়াইট হাউস জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কারবি বলেন, 'এমনটিও হতে পারে যে এটি নতুন অভিযানের প্রস্তুতি। এই সেনারা গত চার মাস থেকে গাজায় অভিযান চালাচ্ছেন। বলা হচ্ছে তারা ক্লান্ত। তাদের বিশ্রাম প্রয়োজন।'

এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে বেসামরিক মানুষের হতাহতের ঘটনা চলমান থাকায় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে প্রধান মিত্র বাইডেন প্রশাসন।

আজ সকালে খান ইউনিস এসে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার সংবাদদাতা হিন্দ খোদারি বলেন, 'মানুষজন বলছেন ইসরায়েলি সেনারা তাদের ঘরবাড়ি এমনভাবে ধ্বংস করেছে যে তা দেখে বোঝার উপায় নেই এখানে তাদের ঘর ছিল। রাস্তাঘাটও নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। সেগুলো দেখে মনে হচ্ছে বালির স্তূপ।'

Comments

The Daily Star  | English

Hasnat warns media against airing Hasina’s speech

Vows to free Bangladesh from the 'pilgrimage site of fascism'

2h ago