আজ সকালের বিমান হামলায় খান ইউনিসে ১১ ফিলিস্তিনি নিহত
আজ রোববার সকালে দক্ষিণ গাজার শহর খান ইউনিসে ইসরায়েলের বিমান হামলায় অন্তত ১১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ফিলিস্তিনের স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ইসরায়েল এ দফায় গাজার উত্তরে হামলার তীব্রতা বাড়াবে। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক সক্ষমতা আরও বাড়ানোর পথে এগুচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বলা হচ্ছে, এ অঞ্চলে মার্কিন সেনাদের ওপর সাম্প্রতিক হামলার প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, গাজার দক্ষিণের শহর রাফাহর ওপরেও বিমান হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। সকালে খান ইউনিসে হামলা শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার আহ্বান জানান ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হাগারি। তিনি বলেন, 'আমরা গাজা শহরে হামলা চালাতে থাকব এবং এর তীব্রতা বাড়াব।'
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার বিমান হামলায় এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৩৮৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৩ হাজারের বেশি। গাজার ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ইতোমধ্যে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১০ লাখ।
ইসরায়েল বলছে, হামাসের হামলায় ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৪ হাজার ৬২৯ জন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৬৩ জন সেনা ও পুলিশ সদস্য।
এদিকে চলমান পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে বিমান হামলা ঠেকাতে আরও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পাঠানোর কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর মধ্যে আছে টার্মিনাল হাই অলটিচিউড এরিয়া ডিফেন্স (টিএইচএএডি) সিস্টেম ও বাড়টি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। মধ্যপ্রাচ্যে ইতোমধ্যে যেসব জায়গায় মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হয়েছে, তাদের কাছে এসব উপকরণ পাঠানো হবে। সঙ্গে আরও সেনাকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলার মধ্যেই গত সপ্তাহে ইরাকে মার্কিন সেনাদের ব্যারাকে ড্রোন ও রকেট হামলা চালানো হয়।
মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন জানান, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা করেই প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পাঠানোর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গাজায় ইসরায়েলের অব্যাহত হামলা শুরুর পর ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে দুইটি রণতরী, আরও কিছু জাহাজ ও দুই হাজার সেনা পাঠিয়েছে।
আর গাজা সীমান্তে ট্যাংক ও সেনা জমায়েত করেছে ইসরায়েল।
ইতোমধ্যে 'যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ের' প্রস্তুতিতে বেশ কয়েকবার মহড়ায় অংশ নিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। শনিবার এসব মহড়ার ভিডিও প্রকাশ করা হয়।
এদিকে আজ সকালেই অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন রিফিউজি ক্যাম্পের একটি মসজিদের নিচে অবস্থিত কম্পাউন্ডে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ইসরায়েলের দাবি, এই কম্পাউন্ড থেকে হামাসের যোদ্ধারা হামলা পরিচালনা করছিলেন। ফিলিস্তিনি গণমাধ্যম জানিয়েছে, এই হামলায় অন্তত এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানান, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলা শুরুর পর থেকে পশ্চিম তীরে অন্তত ৮৪ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।
Comments